বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় জরুরি : শেখ হাসিনা


প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি দেশের আইন সভা, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় বিশৃংখলার সৃষ্টি হতে পারে।

তিনি বুধবার সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য সেলিম উদ্দিনের উচ্চ আদালতে জেলা জজদের সচিব পদমর্যাদা দেয়া বিষয়ে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ‘সংবিধানে উল্লেখিত নিয়ম না মেনে হঠাৎ করে কেউ যদি কোনো ঘোষণা দেন, এতে সত্যিকারভাবে বিশৃংখলার সৃষ্টি হতে পারে। সংবিধানেই সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, কার কি অবস্থান। সেখানে নিজের মর্যাদা নিজেই দেয়া, নিজের পক্ষে নিজে রায় দেয়া, এটা সঠিক নয়। নিজেকে নিজে প্রমোট করে ঘোষণা দিয়ে কখনো কোন আদালতের রায় এভাবে দেয়া যায় না, এটা দেয়াও সমীচীন না। কারণ নিজেরাই নিজেদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দিলে যে যেখানে আছে সে তার নিজের মতো সুযোগ নিয়ে নেবে, তাহলে শৃংখলা নষ্ট হতে পারে।’

তিনি বলেন, জেলা জজদের যদি সচিব পদমর্যাদা দিয়ে দেয়া হয়, তাহলে আরো উচ্চতর আদালতে যারা আছেন, তারা কোন মর্যাদায় যাবেন? তাহলে যেতে যেতে তারাতো রাষ্ট্রপতির উপরে চলে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কোন বিচ্ছিন্ন জায়গা নয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কিভাবে চলে, সেগুলোও দেখা উচিত। প্রতিটি ক্ষেত্রে যার যার কর্তব্য, অন্তত জুডিসিয়ারি তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা উচিত। ঠিক একইভাবে এক্সিকিউটিভরাও তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। কিন্তু এর মাঝে একটা সমন্বয় থাকতে হবে। তবেই একটা রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে চলতে পারবে। আর সে জায়গাটাই যদি নষ্ট করা হয়, এটাও যদি আসে উচ্চ আদালত থেকে, তাহলে এটা সত্যিই দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আইনমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ আলোচনা করছেন, বিষয়টির একটি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের বিচার বিভাগ বিষয়টি জানবেন যে, নিজেকে নিজে প্রমোট করা বা নিজেকে নিজে লাভবান করা কোনভাবেই কোন আদালতের জন্যই সমীচীন নয়। এ ধরনের রায় দেয়া যায়, কিন্তু এটা নীতি বহির্ভূত।

জাতীয় পার্টির সদস্য মো. শওকত চৌধুরীর পক্ষে সেলিম উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানের সিনিয়র সচিব বা সচিব পদের ৫৪টি এবং সচিব পদমর্যাদার ২৬টি পদসহ মোট পদ সংখ্যা ৮০টি। এই ৮০টি পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছে ৬৩ জন। অবশিষ্ট সচিব পদমর্যাদার পদে ১৭ জন অতিরিক্ত সচিব বা ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত সচিব পদে ২৫৩ জন, যুগ্ম-সচিব পদে ৮৮১ জন, উপসচিব পদে ১ হাজার ২৮৭ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ১ হাজার ৫৭৩ জন এবং সহকারী সচিব পদে ১ হাজার ৪৪৬ জন কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব এবং উপ-সচিবের নিয়মিত অনুমোদিত পদ ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে এ সকল পদের সম-মর্যাদা সম্পন্ন কর্মকর্তাগণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। উন্নয়ন প্রকল্পের ওই পদসমূহ সরকারের অনুমোদিত পদ। তাই নিয়মিত পদসংখ্যার চেয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মকর্তার সংখ্যা বেশী। বাসস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।