নৌবাহিনীকে বিশ্বসেরা বাহিনীতে পরিণত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির


প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৫

পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে বিশ্বসেরা বাহিনীতে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার বার্ষিক মহড়া শেষে নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অফিসার ও সীম্যানদের উদ্দেশ্যে ভাষণদানকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা অন্য যে কোন দেশের চেয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সক্ষম। আমি আশা করি, আপনারা নৌবাহিনীকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বাহিনী রূপে গড়ে তুলবেন।

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘সমুদ্র জয়’-এ আরোহণ করে নৌবাহিনীর দু’ঘণ্টাব্যাপী রোমাঞ্চকর মহড়া ‘এক্সারসাইজ সী থান্ডার-২০১৫’ দেখেন এবং অভিবাদন গ্রহন করেন।

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা স্মরণ করে ভাষণে আরো বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র-বিরোধ মামলায় জয়ী হয়ে বিশাল এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। নতুনভাবে উদ্ধারকৃত সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নৌবাহিনীকে সামুদ্র সম্পদ রক্ষা বিশেষ করে প্রাকৃতিক গ্যাস ও মৎস্য সম্পদ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ সময় সমুদ্র পথে দেশের ৯৫ শতাংশ বিদেশী বাণিজ্য রক্ষায় সমুদ্র পথের নিরাপত্তা ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া সামুদ্রিক এলাকায় চোরাচালানী ও অবৈধ মৎস্য শিকার প্রতিরোধেরও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে আধুনিকায়নকরণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘সমুদ্র জয়’ ক্রয়ের পাশাপাশি ‘আবুবকর’ ও ‘আলী হায়দার’ নামে চীন থেকে দুটি জাহাজ ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমান সরকার নৌবাহিনী সদস্যদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নৌবাহিনী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নৌবাহিনী সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন সমস্যা সমাধানে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি জেনে খুশী হয়েছেন যে, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ঘাঁটির বাংলাদেশ নৌবাহিনীর স্পেশালাইজড ইউনিট, বিশাল নৌজাহাজ, সমুদ্র টহল, বিমান এবং হেলিকপ্টার এই অনুশীলনে অংশগ্রহণ করে। আমি আশা করি, বাংলাদেশ নৌবাহিনী তাদের রণকৌশল, পেশাগত দক্ষতার সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সাগরে গোলা বর্ষণ ও রণতরী পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গত ১৩ জানুয়ারি এই মহড়া শুরু হয়ে আজ মঙ্গলবার শেষ হয়। মহড়ার লক্ষ্য হলো নতুনভাবে অর্জিত সমুদ্রসীমার র্সাভৌমত্ব নিশ্চিত করা, সামুদ্রিক এলাকায় নজরদারি, উপকূলীয় এলাকায় নৌবাহিনীর ঘাঁটিসমূহের সুরক্ষা এবং সমুদ্রিক সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।