আরাফাত দিবস ১১ সেপ্টেম্বর


প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

এ বছর আরাফাতের দিন ধার্য হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর। আরাফাতের দিন ইসলামের একটি পবিত্র দিন। এই দিনটি ইসলামিক চন্দ্র ক্যালেন্ডার অনুসারে জিলহজ মাসের ৯ তারিখে পালন করা হয়। এই দিনের শেষ ভাগে হজযাত্রীরা মিনা থেকে যাত্রা করে নিকটবর্তী পাহাড়ের সন্নিকটবর্তী সমভূমি আরাফাতের ভূমিতে এসে উপস্থিত হন।

এই দিনেই মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। বলা হয়ে থাকে যে, একজন বিশ্বাসী যদি এই দিন রোজা রাখে তবে তার পূর্বের বছরের এবং পরবর্তী বছরের পাপ থেকে আল্লাহ তাকে মুক্তি দেবেন।

আরাফাতের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। তবে পবিত্র কাবা ঘরকে কেন্দ্র করে যিলহজ মাসের ৮ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত মক্কা শরীফ থেকে পূর্বদিকে ৯ মাইল এলাকা জুড়ে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে যেসব হুকুম আহকাম বিধিবিধান পালন করা হয়, সেটাই প্রধান হজ। ৮ই জিলহজ ইহরাম পরিধান অবস্থায় মিনায় এসে ৫ বেলা নামায আদায় করতে হয়।

এরপর ৯ জিলহজ ভোরে লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক; লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক; ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক;  লা শারিকা লাকা’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির; তোমার কোনো শরিক নেই; সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার; তোমার কোনো শরিক নেই) বলতে বলতে মিনা থেকে পূর্বদিকে প্রায় ৬ মাইল দূরে অবস্থিত আরাফাত ময়দানে এসে জোহর ও আসরের নামায আদায় করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এখানে অবস্থান করতে হয়। এই অবস্থান ফরয।

সূর্য অস্ত গেলে মাগরিবের নামাজ এখানে আদায় না করে এখান থেকে পশ্চিম দিকে ৩ মাইল দূরে অবস্থিত মুযদালিফা`য় এসে মাগরিব ও এশার নামাজ একসাথে আদায় করতে হয়। এখানে ফজরের নামাজ আদায় করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মিনার উদ্দেশে রওনা হতে হয়।

মিনায় এসে শয়তানকে একে একে ৭টি কংকর মেরে কুরবানী করার পর মাথা মুন্ডন করে গোসল করতে হয়। ১০ই যিলহজ সারাবিশ্বের মুসলিমরা এই কুরবানীতে শরীক হয় এবং হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর মহান ত্যাগের স্মৃতি কুরবানীর মধ্যদিয়ে নতুন করে তাঁর গোটা জীবনের ঈমানদীপ্ত শিক্ষণীয় ঐতিহাসিক ঘটনাবলী স্মরণ করে সকলে নিজেদের ঈমানী চেতনাকে উজ্জীবিত করে তোলে।

পবিত্র আরাফাতের দিন গুনাহ মাফ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির দিন। সহীহ মুসলিম শরীফে আয়িশা কর্তৃক বর্ণিত আছে নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, আরাফাতের দিন এত অধিক বান্দাকে আল্লাহ্ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন, যা অন্য কোনো দিন দেয়া হয় না। সেদিন তিনি বান্দার অত্যন্ত কাছাকাছি থাকেন এবং ফেরেস্তাদের কাছে গর্ব করে বলেন, আমার এসব বান্দা কি চায়?... তোমরা সাক্ষী থেকো আমি তাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দিলাম।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।