মন্দির কর্তৃপক্ষের খরচে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ


প্রকাশিত: ০৯:৪৮ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জেরে ২৪ বছর আগে ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল। সেখানে গড়ে উঠা মন্দিরের জায়গায় এবার মসজিদ নির্মাণ করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। দেশটিতে সাম্প্রদায়িক বিভেদ দেখা যাওয়ার পর এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে অযোদ্ধার হনুমানগড়ি মন্দির ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অযোদ্ধায় হনুমানগড়ি মন্দিরের জায়গায় ৩০০ বছর আগের জীর্ন আলমগিরি মসজিদ পুনরায় নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি অযোধ্যা পৌরসভা আলমগিরি মসজিদটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে। একই সঙ্গে যেকোনও মুহূর্তে তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় মসজিদে লোকজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।

বর্তমানে ওই মসজিদটি মন্দিরের জায়গায় রয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ তাদের জায়গায় মসজিদ নির্মাণের অনুমতির পাশাপাশি নির্মাণ ব্যয় বহনেরও কথা জানিয়েছে।

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে ১৭ শতকে আলমগিরি মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন থেকেই ওই মসজিদটি হনুমানগরি মন্দিরের আরগারা নামের একটি জায়গায় রয়েছে। পরে ১৭৬৫ সালে নবাব সুজাউদ্দৌলা ওই জায়গাটি দান করেন হনুমানগড়ি মন্দির কর্তৃপক্ষকে। তবে সে সময় তিনি শর্ত জুড়ে দেন যে, মসজিদে নামাজ পড়া অব্যাহত রাখতে হবে।

কিন্তু ওই মসজিদে নামাজিদের সংখ্যা কমে যেতে থাকে। পরে তা একেবারেই পরিত্যক্ত ও সম্প্রতি ওই মসজিদ ভবনকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়। পরে স্থানীয় মুসলিমরা হনুমানগড়ি মন্দির ট্রাস্টের প্রধান মহন্ত জ্ঞাণ দাসের সঙ্গে দেখা করে মসজিদটি পুননির্মাণের অনুমতি চান।

পরে ওই মুসলিমদের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্দির ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ মসজিদ নির্মাণের অনুমতি দেয়। শুধু তাই নয়, মসজিদের নির্মাণ ব্যয়ভার মন্দির কর্তৃপক্ষ বহন করবেন বলে জানিয়েছেন মোহন্ত জ্ঞান দাস। একই সঙ্গে ওই মসজিদে মুসলিমদের নামাজ আদায়ে যাতে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা না হয় সেই নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। এর আগে, রমজান মাসে মুসলিমদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন হনুমানগড়ি মন্দিরের প্রধান জ্ঞান দাস।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।