এবার অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে বাবার কাঁধে ছেলের মৃত্যু (ভিডিও)


প্রকাশিত: ১১:০৬ এএম, ৩০ আগস্ট ২০১৬

ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এবার এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক ক্লিনিকে ১২ বছর বয়সী ছেলেকে ভর্তি করেছিলেন বাবা। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়েছিলেন ছেলেকে; কিন্তু হাসপাতাল থেকে শিশু ওয়ার্ডের দূরত্ব থাকায় কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন তিনি। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স না দেয়ায় ছেলেকে কাঁধে নিয়ে রওনা দেন; পরে বাবার কাঁধেই না ফেরার দেশে চলে যায় সেই ছেলে।

ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্লিনিকে দুদিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে সরকারি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন চিকিৎসক। পরে ছেলেকে নিয়ে প্রদেশের একটি সরকারি হাসপাতালে যান বাবা। সেখান থেকে ২০০ মিটার দূরে শিশু ওয়ার্ডে ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন; সে জন্য ৩০ মিনিট অপেক্ষাও করেন।

কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্স না দেয়ায় ছেলে আন্সকে কাঁধে নিয়ে হাঁটতে শুরু করেন তিনি। পরে হাসপাতালে নেয়ার আগেই বাবার কাঁধে মারা যায় ছেলে।

সুনিল কুমার নামের ওই বাবা অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবার চিকিৎসকের কাছে জরুরিভিত্তিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ছেলে আন্সকে। এ জন্য হেঁটে রওনা দিয়েছিলেন তিনি; কিন্তু তার কাঁধে মারা যায় সে।

উত্তর প্রদেশ সরকার এ ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রাজ্যের রাজধানী লখনউ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে ওই শহরে সময় মত চিকিৎসা না পাওয়ায় ছেলে মারা গেছে বলে অভিযোগ করেছেন সুনিল কুমার।



পেশায় মেকানিক সুনিল বলেন, আন্স ষষ্ঠ শেণিতে পড়তো এবং খুব বুদ্ধিমান ছিল। আমি তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই; তারা আমাকে সরকারি হাসপাতালে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়। স্থানীয় একটি ক্লিনিকে দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর চিকিৎসক ওই পরামর্শ দিয়েছিলেন।

শহরের সবচেয়ে বড় সরকারি হ্যালেট হাসপাতালে নেয়ার পর সেখান থেকে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পরে ২০০ মিটার দূরত্বে ছেলেকে শিশু ওয়ার্ডে নিতে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ৩০ মিনিট অপেক্ষাও করেন সুনিল। এসময় চিকিৎসক তার ছেলের শরীর পরীক্ষাও করে দেখেনি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এসআইএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।