সন্ত্রাসবাদ ইস্যু গুরুত্ব পাবে কেরির ঢাকা সফরে


প্রকাশিত: ০৬:২৩ এএম, ২৮ আগস্ট ২০১৬

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ঢাকা সফরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশে তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সফরের প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং সন্ত্রাস নির্মূলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা।

গত মাসে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়। এদের মধ্যে ১৭ জনই ছিল বিদেশি নাগরিক। নিহতরা ছিলেন ভারত, ইতালি এবং জাপানের নাগরিক।

ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট।
 
এর মধ্যে শনিবার নারায়নগঞ্জের পাইকপাড়ায় অভিযান চালিয়ে হলি আর্টিজান হামলার মাস্টার মাইন্ড তামিম চৌধুরি সহ তিন জঙ্গিকে হত্যা করেছে পুলিশ।

বাংলাদেশ যখন একের পর এক অভিযান চালিয়ে জঙ্গি নিধন করছে ঠিক সেই মুহূর্তেই ঢাকায় সফর করতে আসছেন জন কেরি। কেরির এই সফরে জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে বিভিন্ন অভিযানে যতটুকু সম্ভব ততটুকু সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে কেরি জানিয়েছেন, সহিংস ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরো জোরদার হবে।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত বেশ কিছু সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলায় বিদেশি নাগরিক, ব্লগার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হয়েছে। মুসলিম দেশ হলেও বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করেন। কিন্তু এসব হামলা ও হত্যার ঘটনায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

তবে বরাবরই বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়েই বলে আসছে তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন জানিয়েছেন, যে কোনো ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার দেশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

আল কায়েদা বা আইএসের মত জঙ্গি গোষ্ঠীও যদি বাংলাদেশে হামলা চালায় তবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও প্রস্তত আছে বাংলাদেশ। এমনটাই জানিয়েছেন জিয়া উদ্দিন।

টিটিএন/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।