ইতালির ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৭


প্রকাশিত: ০৫:২২ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৬

বুধবার ইতালির পার্বত্য এলাকায় ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে রাতভর অভিযান চালানো হয়েছে।

ইতালি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসির সংবাদে বলা হয়েছে, ২৪০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ৩৬৮ জন আহত হয়েছেন।   

ধারণা করা হচ্ছে, এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিজে আটকা পড়ে আছে। প্রায় ৪ হাজার ৩০০ উদ্ধারকর্মী অভিযানে নিয়োজিত। খালি হাতের পাশাপাশি তারা ভারি যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করছেন।

ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, নিহতদের মধ্যে বেশ ক’জন শিশু রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা তার।

বৃহস্পতিবার ইতালির নাগরিক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৪৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৯০ জনই নিহত হয়েছেন রিয়েতি রাজ্যে। আর ৫৭ জন নিহত হয়েছেন পাশের আসকোলি পেসেনো রাজ্যে।

উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক আমাত্রিস শহরের হোলের রোমার ধ্বংসস্তূপ থেকে তারা পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ভূমিকম্পের সময় হোটেলটিতে অন্তত ৩৫ জন ছিলেন এবং তারা হয়তো কোনোভাবে বেরিয়ে যেতে পেরেছেন। স্থানীয় এক দমকল কর্মী জানিয়েছেন, ১০ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছেন।

ভূমিকম্পের ১৭ ঘণ্টা পর বুধবার পেসকারা দেল ত্রন্তো নামে একটি গ্রাম থেকে ছোট একটি মেয়েকে উদ্ধারের পর গ্রামবাসীর মধ্যে আনন্দে ছড়িয়ে পড়ে। মেয়র জানিয়েছেন, ওই গ্রামের পর প্রায় সব কটি ভবনই ধসে গেছে।

বুধবার স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টা ৩৬ মিনিটে রোমের ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূকম্পনটি আঘাত হানে।      

আমব্রিয়া, লাজিয়ো ও লে মার্শের কাছের ছোট ছোট শহর ও গ্রামের পার্বত্য এলাকাগুলোই এই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভূমিকম্পের পর সেখানকার লোকজন সারারাত খোলা আকাশের নিচে বা তাঁবুতে কাটিয়েছে।

ইতালির বার্তা সংস্থা আনসারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে মারিসল পিয়েরমারিনি নামে ১৮ মাসের এক শিশু রয়েছে, ২০০৯ সালের এল’আকিলায় ভূমিকম্পের পর যার মা মার্টিনা তুর্সো ওই শহর থেকে চলে যান।

আনসার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্কুয়াতা দেল ত্রন্6তোর ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারের পর তুর্সোকে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিত গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বুধবারের ভূমিকম্পের পর কয়েক দফা শক্তিশালী আফটারশকও অনুভূত হয়েছে ইতালিতে, যার মধ্যে একটি ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৭ মাত্রার। সেটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিয়ার ৭ কিলোমিটার পূর্বে।

আমাত্রিসের মেয়র জানিয়েছেন, তার শহরের চার ভাগের তিন ভাগ ভবন ধসে পড়েছে এবং সেখানে বসবাসের উপযোগী আর কোনো ভবন নেই।

ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকে ওই শহরে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। 

এনএফ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।