রক্তাক্ত ওমরানের সেই ছবিকে ভুয়া দাবি চীনের


প্রকাশিত: ১১:৪২ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৬

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে বিধ্বংসী বিমান হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার এবং রক্তাক্ত শরীরে অ্যাম্বুলেন্সে ভাবলেশহীন বসে থাকা শিশু ওমরানের সেই ছবিকে ভুয়া দাবি করেছে চীন। দেশটির সরকারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, প্রচারণা যুদ্ধের অংশ হিসেবে পশ্চিমা বিশ্ব এই ভুয়া ছবি ব্যবহার করে থাকতে পারে।

গত বুধবার রাতে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত কাতারজি জেলায় সিরিয়া সরকার ও রাশিয়ার বিমান হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ওমরানকে উদ্ধার করা হয়। হামলায় ওমরানের এক ভাই নিহত হয়েছে। ওমরানকে উদ্ধারের সেই ভিডিও ফুটেজ বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের হৃদয়ে নাড়া দেয়। তবে কাতারজি এলাকায় হামলার তথ্য অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাশার আল আসাদ নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করে বেইজিং এবং দেশটি রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধে হস্তক্ষেপের জন্য চীন প্রতিনিয়ত পশ্চিমা শক্তিগুলোর সমালোচনা করে আসছে।

omran

চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমালোচকরা মনে করেন যে ভিডিওটি একটি প্রচারণা যুদ্ধের অংশ; এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সিরিয়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য একটি মানবিক অজুহাত তৈরি।

সিসিটিভি উদ্ধারকাজের ধীরগতির সমালোচনা করে বলছে, উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন নাই; এর পরিবর্তে দ্রুত ক্যামেরা বসিয়েছেন। ছবিটি পোজ দিয়ে তোলা হয়েছে? অতিরঞ্জিত? ভিডিওটি ভুয়া বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সিসিটিভি অবশ্য সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের অভিযুক্ত করেছেন; যারা ওই ছবি তুলেছেন। এতে আরো বলা হয়েছে, সিরীয় নাগরিকদের জমায়েত করা হয়েছিল, প্রকৃতপক্ষে এটি করেছে সংকটকালীন উদ্ধারকারী নামের একটি সংগঠন। যার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ব্যক্তিরা ব্রিটেনের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা।

তবে, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রকাশিত অনেক ছবি ও ভিডিও ফুটেজকে ভুয়া দাবি করা এই প্রথম নয় চীনের। এর আগে, ২০০৯ সালে রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সিনহুয়া নিউজ অ্যাজেন্সি তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রকাশিত একটি ভিডিওকে ভুয়া দাবি করে চীন।  

এসআইএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।