এইডস রোগও নিরাময় সম্ভব


প্রকাশিত: ০৫:৪০ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৬

সম্প্রতি এক দারুণ সুখবর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা জানিয়েছেন এবার এইডস রোগও নিরাময় সম্ভব।

স্পেনের বার্সেলোনার চিকিৎসকদের দাবি তারা এইডসের নিরাময়ের পথ আবিষ্কার করে ফেলেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) তথ্যমতে বিশ্বে ৩৪ লাখের বেশি মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে স্পেনের চিকিৎসকদের দাবি যে ভাইরাসের কারণে এইডস হচ্ছে তার প্রতিকার করা সম্ভব।

ওই চিকিৎসকরা এক রোগীল ওপর চিকিৎসা চালিয়ে ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, তারা এইডসের ওই রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে সফল হয়েছেন।

বার্সেলোনার ৩৭ বছর বয়সী তিমোথি ব্রাউন নামের এক ব্যক্তি এইডসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকরা তার রক্ত স্থানান্তরের মাধ্যমে তাকে এই রোগ থেকে মুক্ত করেছেন। এখন তিনি সুস্থ আছেন।

বার্সেলোনার ক্যাটালান ওনকোলোজি ইন্সটিটিউটের হায়েমাটোপয়েটিক ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক রাফায়েল দোয়ার্তে জানান, চিকিৎসরা প্রাথমিক ওই রোগীর ওপর পরীক্ষামূলক গবেষণা চালান। চিকিৎসকরা জানান, তারা নাড়ির মাধ্যমে রক্ত স্থানান্তর করতে চেয়েছিলেন। কেননা তারা জানতেন যে ব্রাউন আগে থেকেই ক্যান্সারে আক্রান্ত। আর তাদের ব্রাউনের শরীর থেকে এইডসের জীবানু একেবারেই নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। একারণেই তারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

রক্ত স্থানান্তরের পূর্বে একজন রোগীর শরীরের ব্লাড সেলগুলো কেমো থেরাপির মাধ্যমে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলতে হয়। এরপরেই তাদের শরীরে নতুন সেল স্থানান্দর করতে হয়। এতে করে এইচআইভির ভাইরাস তাদরে শরীরে আর অবস্থান করতে পারে না। বার্সেলোনার এই রোগীর ক্ষেত্রে এক ব্যক্তি তার শরীরের স্টিম সেল দান করেন।

ব্লাড ট্রান্সপ্লান্টের এগারো দিনের মাথায় ওই রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এর তিন মাস পরে তার শরীরে এইচআইভির আর কোনো ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বছরের মার্চেই সফলভাবে এইডসের প্রতিকার করেছেন চিকিৎসকরা। এটা ছিল প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক গবেষণা যার মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সার এবং এইচআইভি আক্রান্ত রোগীকে পুরোপুরি সুস্থতা দান করতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকরা।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।