জার্মানিতে নিষিদ্ধ হতে পারে বোরকা


প্রকাশিত: ১১:১৬ এএম, ২০ আগস্ট ২০১৬

বোরকা ব্যবহার আংশিকভাবে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে জার্মানি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডি মেইজিয়ের সেদেশে বোরকার ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

একদিন আগেই তিনি জানিয়েছেন, বোরকা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করাটা হয়তো সাংবিধানিক হবে না। তবে আংশিকভাবে বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।

একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, সমাজের সংহতির স্বার্থে একজন মহিলার মুখ দেখা যাওয়াটা আইনি বাধ্যবাধকতায় পরিণত করতে চাইছে সরকার। তবে একে আইনে পরিণত করতে হলে পার্লামেন্টের অনুমোদন লাগবে।

এই প্রস্তাব আইনে পরিণত হলে জার্মানির স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সারি, বা সরকারি অফিসে বা গাড়ি চালানোর সময় কেউ মুখ ঢাকা বোরকা পরতে পারবেন না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, জার্মানির সমাজ একটি মুক্ত সমাজ। কারো মুখ ঢেকে রাখাটা এই সমাজের ধ্যানধারণার সঙ্গে মেলে না।

তিনি আরো বলেন, আমাদের যোগাযোগের রীতি, জীবনযাত্রা এবং সমাজের সংহতি এগুলোর সবকিছুরই একটি উপাদান হচ্ছে  আমাদের মুখ অনাবৃত রাখা। শুধু বোরকা নয় যে কোন রকম আবরণ যা শুধু চোখ ছাড়া পুরো মুখ ঢেকে রাখে তা আমরা প্রত্যাখ্যান করি।

তিনি আরো বলেন, পুরো মুখ ঢেকে কেউ জনসেবামূলক কাজ করতে পারে না। জার্মানিতে সম্প্রতি রেকর্ড সংখ্যক মুসলিম শরণার্থী আসা ছাড়াও বেশ কিছু আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তথাকথিত ইসলামিক স্টেটই এসব হামলা চালিয়েছে বলে দায় স্বীকার করেছে।

বোরকা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সরকার বিভক্ত হয়ে পড়েছে। জার্মানিতে ঠিক কত জন নারী বোরকা পরেন তা নিয়ে কোন সরকারি পরিসংখ্যান নেই। তবে জার্মান মুসলিমদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের নেতা আইমান মাজিয়েকের বরাত দিয়ে বোরকা পরেন এমন মহিলার সংখ্যা একেবারেই নগণ্য বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম।

অভিবাসন ও শরণার্থী সংক্রান্ত একটি সংস্থা ২০০৯ সালের একটি জরিপের রিপোর্টে বলেছে, জার্মানির মুসলিম মহিলাদের দুই-তৃতীয়াংশও বোরকা পড়েন না।

টিটিএন/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।