দিনরাত খদ্দেরের চাহিদা মেটানোই তাদের অহংকার


প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৬

প্রশ্নটা করতেই যেন ঝড় ধেয়ে এল। সে ঝড়ের একদিকে গ্লানি, অন্যদিকে ক্ষোভ। আরেকদিকে যেন মিশে রয়েছে প্রচ্ছন্ন ‘অহংকার’! কিন্তু সমাজ থেকে এভাবে বঞ্চিত হয়েও কিসের ‘অহংকার’ তাদের? মাথায় ঘুরপাক খেতে শুরু করলো কথাগুলো। তাদের অহংকার খদ্দেরের অতৃপ্ত যৌনচাহিদা পুষিয়ে দেওয়ার। খদ্দেরের স্বপ্নের নায়িকার মত চাহিদা যৌন মেটানো, যা ঠিক সাধারণরা পারে না। আর সেখানেই সবার থেকে আলাদা হওয়ার অহংকার তাদের!

এ চিত্র এশিয়ার সর্ববৃহৎ যৌনপল্লী পশ্চিমবঙ্গের সোনাগাছির। কেউ এসেছেন বাধ্য হয়ে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পেতে, কেউ আবার স্বেচ্ছায় এ পেশা বেছে নিয়েছেন। দিনে ৭-৮ জন থেকে ভালো সময় কখনও কখনও ১০-১২ জন খদ্দেরকে তুষ্ট করে তারা। বিকৃত যে যৌনচাহিদার কথা কাউকে বলা যায় না, টাকার বিনিময়ে এখানে চলে সেই সুখ কিনে নেওয়া।

brothels

বিয়ে সংসার হয়নি বা বিপত্নীক, ঘরে অশান্তি এমন অতৃপ্তি মেটাতেই খদ্দেররা আসেন এই পল্লীতে। যৌনপল্লী সোনাগাছি থেকে বিশ্বের যে কোনো রেডলাইট এলাকার ছবি মোটামুটি একই। দুনিয়ার মধ্যেই এক অন্য দুনিয়ায় বাস তাদের।

দিনে তিনবার গোসল। আর প্রত্যেকবার গোসলের মাঝে চার থেকে পাঁচজন করে খদ্দের। ঘুপচি কুঠুরিতে রাতগুলো অনেক লম্বা। কিন্তু দিনটা ভীষণ ছোট বলেন ১৩ বছর বয়সে সোনাগাছিতে আসা বিউটি।

তিনি বলেন, যখন খুব কষ্ট হত, মুখে মেকআপ করে নিতাম। তাহলেই যেন আমি অন্য মানুষ। এভাবেই দিন চলছিল বিউটির। দিন চলে আরও কয়েকশ বিউটির। তারপর কোনো একদিন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে কখনও কখনও এই নরক থেকে মুক্তি মেলে তাদের। আর কখনও কখনও জানালার গারদের শিক ধরে দাঁড়িয়েও খদ্দের খোঁজেন ৬০ বছরের অশক্ত শরীরটা। জিনিউজ।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।