দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকার ৫ উপায়


প্রকাশিত: ০৫:২৫ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৫

দুশ্চিন্তা করেন না এমন মানুষ নেই। মাথা থাকলে চিন্তা থাকবে আর চিন্তা থাকলে দুশ্চিন্তাও থাকবে। দুশ্চিন্তা একেবারে দূর করা হয়তো সম্ভব নয় কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিয়ন্ত্রণে থাকলে আপনি খুব সহজেই আপনি দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন। চলুন জেনে নেই দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকার ৫ টি কার্যকরী উপায়-

মেডিটেশন করুন
খুব বেশি দুশ্চিন্তায় যারা ভোগেন তাদের সহজে দুশ্চিন্তা দূর হতে চায় না। এবং খুব সহজেই তারা দুশ্চিন্তায় পড়ে থাকেন। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান মেডিটেশন। সকালে শান্ত পরিবেশে ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন করেন নিলে সারাদিনের দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। এছাড়াও খুব বেশি দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য মেডিটশনে বসে যান।

গভীরভাবে শ্বাস নিন
চোখ বন্ধ করে গভীর ভাবে বুক ভোরে শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এতে রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাবে। অক্সিজেন মস্তিষ্ক এবং মাংসপেশির আড়ষ্টতা দূর করে শিথিল করতে সাহায্য করবে। এভাবে ৫-১০ মিনিট করুন। দুশ্চিন্তা অনেকাংশেই দূর হবে।

অন্যদিকে মনোযোগ দিন
যখন দুশ্চিন্তা হয় তখন মানুষ শুধুমাত্র নিজের দুশ্চিন্তাতেই মগ্ন থাকে এতে দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়। তাই দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে দুশ্চিন্তার কারণ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেয়া ভালো। মানসিক স্বস্তির জন্য অন্য কোনো কিছুতে মনোনিবেশ করুন। দুশ্চিন্তা কমে যাবে।

শারীরিক পরিশ্রম করুন
শারীরিক ব্যায়াম এবং পরিশ্রম আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে মস্তিষ্ক সতেজ হয় এবং আপনি যে কাজটি করছেন তার দিকে মনোনিবেশে সহায়তা করে। এতে আপনার মনোযোগ শুধুমাত্র সেই পরিশ্রমের কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এবং আপনি দুশ্চিন্তা করবেন না।

চকলেট খান
হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন, চকলেট। একটুকরো চকলেটই পারে আপনার মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করতে। সেরিটেনিন নামক হরমোনটি মস্তিষ্কে উৎপাদন করার জন্য একটুকরো হলেও চকলেট খান। সেরিটেনিন মস্তিষ্কে ভালোলাগার অনুভূতির সৃষ্টি করে এবং মস্তিষ্ক শিথিলে কাজ করে। দুশ্চিন্তা দূর করতে চাইলে একটুকরো চকলেট মুখে পুড়ে নিন।

এইচএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।