শিশুর সুন্দর ঘর


প্রকাশিত: ০৫:০৯ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৫

অনেকেই আছেন যারা শিশুদের মতামতকে গুরুত্ব দেন না। ভাবেন, ছোটদের আবার পছন্দ কী! এটা ঠিক নয়। শিশুদেরও আছে পছন্দ-অপছন্দ। তাই শিশুর ঘর সাজানোর আগে তার মতামতের গুরুত্ব দিন। তার পছন্দের দিকটি বিবেচনা করেই রাঙিয়ে তুলুন শিশুর রূপকথার রাজ্য!

ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা মনে করেন, শিশুর বয়সের ওপর নির্ভর করবে তার ঘরের অন্দরসজ্জা। তিন থেকে আট বছর বয়সী শিশুর অন্দরসজ্জায় সাধারণত কার্টুন মোটিভের রঙে আসবাবকে প্রাধান্য দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ছেলেদের খেলনার উপকরণ যেমন গাড়ি, ট্রেনের বগি, র্যাকেট এই আদলে তৈরি করা যেতে পারে ঘরের খাট। তাক, আলমারি, খেলনার বাক্স, পড়ার টেবিলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় আসবাবের নকশায় প্রাধান্য পায় শিশুদের প্রিয় কার্টুনগুলো (যেমন ডোরেমন, পাপাই, টম অ্যান্ড জেরি, ব্যাটম্যান, স্পাইডারম্যান ইত্যাদি)। সাধারণত এ ধরনের আসবাবে পারটেক্সের ওপর কার্টুন চরিত্রের মুখায়বের আদল ফুটিয়ে তোলা হয়। এ ক্ষেত্রে হলুদ, বেগুনি, নীল, লাল এই রংগুলো প্রাধান্য পায় আসবাবে।

আট থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের ঘরে রাখা হয় স্বাভাবিক রঙের কাঠের আসবাব। বয়স অনুযায়ী ঘরে আসবাব পরিবর্তনের কারণ, এই বয়সীদের মধ্যে এক ধরনের দৃঢ় সাহসিকতার মনোভাব প্রকাশ পায়। আর এ বয়সেই শিশুর মধ্যে পরিবর্তন আসা শুরু হয়। তাই কার্টুন-আসবাব এ বয়সী শিশুদের ব্যক্তিত্ব তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এই বয়সী শিশুর অন্দরসজ্জায় দেয়ালের এক দিকে রাখতে পারেন কাঠের খাট। কাঠের তৈরি পড়ার টেবিল সংযুক্ত করে দিতে পারেন দেয়ালের সঙ্গে। একইভাবে প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার জন্য পড়ার টেবিলের ওপরে দেয়ালজুড়ে তৈরি করতে পারেন কাঠের তাক। দেয়ালচিত্র ঘরের প্রতি শিশুর আকর্ষণকে বাড়িয়ে তোলে।

শিশুর ঘরের দেয়ালে সাধারণত হলুদ, বাদামি, কমলা, নীল এসব রঙের ব্যবহার করা হয়। শুধু দেয়ালেই নয়, ঘরের ভেতরের ছাদেও করতে পারেন অঙ্কনচিত্র। সে ক্ষেত্রে বিছানার ওপর সিলিংটি বেছে নিন। সিলিংজুড়ে করতে পারেন ছায়াপথের নক্ষত্রপুঞ্জের অঙ্কনচিত্র। নক্ষত্রপুঞ্জে বসিয়ে দিন রেডিয়ামের গ্রহ-নক্ষত্রের স্টিকার। রাতের অন্ধকারে জলে ওঠা রেডিয়ামের আলো বিছনায় শুয়ে থাকা শিশুটিকে নিয়ে যাবে অন্য এক কল্পনার রাজ্যে। এছাড়া বর্ণমালা, বিভিন্ন কার্টুন-কাহিনীও অঙ্কন করতে পারেন দেয়ালে। শুধু দেয়ালচিত্র অঙ্কন করেই নয়, দেয়ালচিত্রের কাহিনীর পর্দা ও বিছানার চাদর ঘরে রাখলে তবেই ঘরটি শিশুর কাছে হয়ে উঠবে আকর্ষণীয়।

এইচএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।