কুমিল্লায় গ্রাহকের ৪০ লাখ টাকা নিয়ে এনজিও উধাও
কুমিলার চৌদ্দগ্রামে গ্রাহকের প্রায় ৪০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (এসডিসি) নামের একটি এনজিও। গত দুইদিন ধরে উপজেলার ওই এনজিও’র দুইটি শাখায় তালা ঝুলছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রতারিত হওয়া অসংখ্য গ্রাহক।
জানা গেছে, চলতি বছরের গত ৩ জানুয়ারি চার ব্যক্তি চট্টগ্রামের চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকার ১৩৪, পশ্চিম বাকলিয়াকে প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা ব্যবহার করে ‘এসডিসি’ (রেজি-এস-৮৬৫০(৪৬৬)২০০৮ইং) চৌদ্দগ্রামে কার্যক্রম শুরু করে। ইতোমধ্যে তারা চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার বৈদ্দেরখীল কামাল ভিলা ও চিওড়া ইউনিয়নের সুজাতপুর গ্রামের মাস্টার আবদুল মান্নানের বাড়িতে শাখা অফিস হিসেবে ঘর ভাড়া নেয়। এনজিও সংস্থার ওই ব্যক্তিরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বেকার যুবক ও যুবতীকে মাঠ কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়। তারা মাঠ কর্মীর মাধ্যমে ১ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে ১০ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকা ঋণের বিপরীতে ৫ হাজার টাকা হারে জামানত সংগ্রহ করে।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পে সঞ্চয় স্কীমের নাম করে বিপুল পরিমাণ জামানত আদায় করা হয়। এ হিসেবে ওই দুই কার্যালয়ে কয়েকশত গ্রাহক থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা গ্রহণ করে। এরমধ্যে উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের ফাতেমা ১০ হাজার, জাহানারা ৫ হাজার, দেবিপুরের সজিবের নিজ বাড়ি থেকে ৩৫ হাজার, শ্বশুড় বাড়ি পৌর এলাকার শ্রীপুর থেকে ৫০ হাজার টাকা, চিওড়া ইউনিয়নের সুজাতপুর গ্রামের নজির ড্রাইভারের ১৫ হাজার ও মিজানের ১০ হাজার টাকা নেয়ার কথা সংশ্লিষ্টরা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেন।
এদিকে এনজিও’র কর্মকর্তারা গত রোববার গ্রাহকদের ঋণ দেয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে। সকাল ১০টার দিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাহকরা ঋণের জন্য এসে দেখে দুইটি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে কর্মকর্তারা উধাও হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে এনজিও সংস্থার চৌদ্দগ্রাম অফিস কামাল ভিলার মালিকের ছেলে জাহাঙ্গীর জানান, চলতি মাসের তিন তারিখে বাদল নামের এক ব্যক্তি এসে এসডিসি এনজিও সংস্থা’র নামে ঘরটি ভাড়া নেয়। তবে গত রোববার চুক্তি ও অগ্রিম টাকা দেয়ার দিনে তারা পালিয়ে যায়’। তবে সুজাতপুরের কার্যালয়ের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের ব্যাপারে সোমবার এসডিসির লিফলেটে থাকা চৌদ্দগ্রাম শাখা ব্যবস্থাপকের ব্যবহৃত মুঠোফোনের ০১৮৬৭-৫৮২৬৭৫ নাম্বারে বারবার কল করেও সেটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবময় দেওয়ান জাগোনিউজকে জানান, আমি বিষয়টি শুনিনি।
এমএএস