কলম্বাসের পথে নতুন সমুদ্র যাত্রা
৫শ বছর আগে আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস। কিন্তু সেসময় ঠিক কোন জায়গাতে তার জাহাজ ভিড়েছিল সে বিষয়ে আগ্রহের শেষ নেই। সেই আগ্রহ থেকেই কলম্বাসের পথে নতুন সমুদ্র যাত্রা করে রহস্যের সমাধান করতে চান একদল অভিযাত্রী।
ক্রিস্টোফার কলম্বাস ১৪৯২ সালে সমুদ্রপথে তার অভিযান শুরু করেছিলেন। তার সেই অভিযানেই প্রথমবারের মতো ইউরোপের কোন নাগরিকের সঙ্গে দেখা হয় কোন আমেরিকার।
কিন্তু আমেরিকা মহাদেশের ঠিক কোথায় কলম্বাস জাহাজ থেকে নেমেছিলেন তা নিয়ে শত শত বছর ধরে বিতর্ক চলছে। এই বিতর্কের কোনো শেষ হচ্ছে না। অন্তত ১০টি স্থানের বাসিন্দারা দাবি করেন যে, কলম্বাস তাদের এলাকাতেই প্রথম পদধূলি দিয়েছেন।
আমেরিকায় নামার পর কলম্বাস ভেবেছিলেন তিনি জাপানে পৌঁছেছেন। পরে তিনি বুঝতে পারেন সেটা আমেরিকা।
সম্প্রতি একদল ইতিহাসবিদ এবং সমুদ্র অভিযাত্রী প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন যে, ক্রিস্টোফার কলম্বাস ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করে মধ্য আমেরিকায় পৌঁছে সেখানকার গ্র্যান্ড টার্ক দ্বীপেই প্রথম অবতরণ করেন।
এই দ্বীপটি টার্কস অ্যান্ড কেকস দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী। তবে বাহামা দ্বীপও দাবি করে যে, কলম্বাস সান সালভাদরেই প্রথম নামেন। এসব বিতর্কের অবসান করতেই টার্কস এবং কেকস দ্বীপের একদল অভিযাত্রী দল ঠিক করেছেন কলম্বাস যে পথ ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পৌঁছেছিলেন সেই একই পথ ধরে তারাও যাত্রা করবেন।
তাদের হাতে থাকবে কলম্বাসের ব্যক্তিগত ডায়রি এবং তার সেই বিখ্যাত সমুদ্র অভিযানের লগবই। তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন যে কলম্বাস ঠিক কোন স্থানে অবতরণ করেছিলেন।
কলম্বাসই প্রথম আমেরিকায় যান বলে দাবি করা হলেও তার বহু আগে ভাইকিংরা ইউরোপ থেকে আমেরিকায় পদার্পন করেছেন বলে জানা যায়।
তবে কলম্বাসের হাত ধরেই আমেরিকা মহাদেশের সঙ্গে ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী, বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে।
টিটিএন/পিআর
