মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক নেয়ার সুস্পষ্ট নীতিমালা দাবি


প্রকাশিত: ০৬:৫৪ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০১৬

বিদেশি শ্রমিক নেয়ার কার্যক্রমটি আরও স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (এমটিইউসি)।

সোমবার দেশটির জাতীয় দৈনিক দ্য স্টার অনলাইনে এক সাক্ষাৎকারে মালয়েশিয়ার ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের মহাসচিব এন. গোপাল কিশনাম সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিদেশি শ্রমিক আনার বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতি বাস্তবায়ন করে জনগণকে পরিষ্কারভাবে যেন জানিয়ে দেয়া হয়। যাতে করে সবাই সঠিকভাবে তথ্যগুলো বুঝে উঠতে পারে।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন সুস্পষ্ট নীতি না থাকায় বিদেশি শ্রমিকদের কাছে থেকে একটি মহল প্রচুর পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। কিছুদিন আগে ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের খবর বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় তা প্রচার করায় আমাদের দেশের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা আজ বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি।

অন্যদিকে, মালয়েশিয়ান এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (এমইএফ) থেকে জানানো হয়, আমরা বিদেশি শ্রমিক আনার ব্যাপারে সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি। তবে তা দীর্ঘমেয়াদি ও সুস্পষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে ও শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ণ কর্মপরিবেশ থেকে রক্ষার জন্য বিস্তৃত নীতিমালা গ্রহণের কথাও তারা আরোপ করেন।

শ্রমিক আমদানির সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকার কারণে মালয়েশিয়ায় লাখ লাখ প্রবাসী শ্রমিক তাদের এজেন্ট ও নিয়োগকর্তাদের হাতে মারাত্মকভাবে শোষিত ও বঞ্চিত হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন এন. গোপাল কিশনাম।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেছে এই সংগঠনটি। যার মধ্যে অন্যতম হলো বিদেশি শ্রমিকদের ব্যাপারে সরকারের বিস্তৃতি নীতিমালা গ্রহণ, সহজ অভিবাসন ব্যবস্থা প্রণয়ন এবং স্বচ্ছ ও উপযুক্ত মনিটরিং কার্যক্রম গ্রহণ, অসাধু এজেন্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ, কাজ শেষে প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থাগ্রহণ ইত্যাদি।

এছাড়া মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় আরও তৎপর হওয়ার জন্য দেশটিতে বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন এমটিইউসি মহাসচিব।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।