পাকিস্তানের হাসপাতালে হামলার দাবি আইএস ও তালেবানের


প্রকাশিত: ০৩:২৪ এএম, ০৯ আগস্ট ২০১৬

পাকিস্তানের কোয়েটার বেসামরিক হাসপাতালে বোমা হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলেছেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। খবর বিবিসির।

সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করতে নিরাপত্তাবাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট এবং পাকিস্তান তালেবানের একটি অংশ দাবি করছে তারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।

কোয়েটাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে এক বৈঠকে নওয়াজ শরীফ সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে আহ্বান জানান। বোমা হামলার পর সেনাবাহিনীর প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র আনওয়ার উল হক কাকার বিবিসিকে বলেছেন যারা পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে তাদের বুঝতে হবে কি বিশাল কাজ তাদেরকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

pakistan

পুরো রাষ্ট্রই আক্রমণের শিকার হয়েছে। আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে প্রায় ৭০ হাজার প্রাণ হারিয়েছি। গণমাধ্যম কর্মী, আইনজীবী, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, সেনা সদস্য, সংসদ সদস্য রয়েছেন নিহতের তালিকায়। পাকিস্তানে সমাজের প্রত্যেকে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আত্মত্যাগ করেছে।

এদিকে, পাকিস্তান তালেবানের একটা অংশ জামাত উল আহরার দাবি করছে তারা এই হামলা চালিয়েছে। আবার ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীও এই হামলার দাবি করছে বলে খবরে বলা হয়েছে।

গতকাল বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার একটি হাসপাতালে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই আইনজীবী।

সোমবার সকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে বেলুচিস্তান বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বেলাল আনোয়ার কাসি নিহত হন। বেলালের মরদেহ হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে আইনজীবী এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়েছিলেন। তাদের মাঝখানেই ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্র সচিব আকবর হারিফাল।

বেলুচিস্তান পাকিস্তানের দরিদ্র প্রদেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম। এর আগে সেখানে প্রায়ই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই হাসপাতালে আগে থেকে কোনো হামলার হুমকি দেয়া হয়নি।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।