পাকিস্তানের হাসপাতালে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০
পাকিস্তানের একটি বেসামরিক হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০য়ে দাঁড়িয়েছে। বিস্ফোরণে আরো বহু মানুষ আহত হয়েছে। সোমবার কুয়েটার একটি হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর ডনের।
হাসপাতেল জরুরি বিভাগের বাইরে চালানো ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী। ওই হামলাটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।
সোমবার সকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে বেলুচিস্তান বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বেলাল আনোয়ার কাসি নিহত হন। বেলালের মরদেহ হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে আইনজীবী এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়েছিলেন। তাদের মাঝখানেই ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্র সচিব আকবর হারিফাল।
বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বাগতি ডন নিউজকে জানিয়েছেন, এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ওই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
বেসামরিক হাসপাতালে বিলালের মরদেহ নেয়ার পর তার সহকর্মীরা তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। ঠিক সে সময়ই ওই হামলা চালানো হয়। হামলায় বেলুচিস্তান বার এসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান বাজ মোহাম্মদ কাকারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন।
বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এবং ডন নিউজের ক্যামেরাম্যান ওই বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। আজ টিভির ক্যামেরাম্যান শাহজাদ খান ওই হামলায় নিহত হয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।
বিস্ফোরণের পর হাসপাতালের চার পাশের এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ওই হাসপাতাল থেকে আহতদের নিকটবর্তী কয়েকটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বাগতি বলেছেন, নিরাপত্তার অভাবেই হাসপাতালটিতে এ ধরনের ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এ হামলার তদন্তের বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, এর আগে হাসপাতালটিতে কোনো ধরনের হামলার হুমকি দেয়া হয়নি।
ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সানাউল্লাহ জেহরি জিউ নিউজকে বলেছেন, কুয়েটার ও সন্ত্রাসী হামলার পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উয়ং (আরএডব্লিউ) দায়ী।
টিটিএন/আরআইপি