উত্তরপ্রদেশে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতে নিষেধাজ্ঞা


প্রকাশিত: ০১:৫১ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০১৬

ভারতের উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দেশটির জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন’ গাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রদেশের এলাহাবাদের একটি বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশনা জারি করেছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্কুলে কোনো শিক্ষার্থী এমনকি শিক্ষকও ‘জনগণমন’ এবং সরস্বতী বন্দনা গাইতে পারবেন না। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশনার পর প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষকরা। এ ঘটনার জেরে আট শিক্ষিক স্কুল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

স্কুল কর্তৃপক্ষের যুক্তি, জাতীয় সংগীত ইসলামবিরোধী। তাই কোনোভাবেই স্কুলে তা গাওয়া যাবে না। এলাহাবাদের যে স্কুলে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, সেখানে মোট ৩৩০ শিক্ষার্থী ও ২০ শিক্ষক রয়েছেন। কেন এই ধরনের নির্দেশনা দেয়া হলো স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু তিনি তার সিদ্ধান্তেই অনড়। এরপরই শিক্ষকরা একযোগে কাজ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

স্কুলের অধ্যক্ষ ঋতু শুক্ল বলেন, স্বাধীনতা দিবসের জন্য অনুষ্ঠানের সব ব্যবস্থা হয়েছিল। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জাতীয় সংগীত গাওয়ার কথা ছিল। এমনকি সরস্বতী বন্দনার বিষয়টিও রাখা হয়েছিল ওই অনুষ্ঠানে। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্কুল সভাপতি জিয়াউল হক আমাদের ডেকে বলেন, এসব কোনোভাবেই স্কুলে করতে দেওয়া হবে না। তার অভিযোগ, সভাপতি বলেন, সরস্বতী বন্দনা এবং ‘জনগণমন’ তাদের ধর্মবিরোধী।

জিয়াউল হক বলেন, জাতীয় সংগীতের একটি লাইনে আপত্তি আছে। তা হল ‘ভারত ভাগ্য বিধাতা’। তিনি বলেন, ভারত আমাদের ভগবান নয়, আমাদের ভাগ্যের বিধাতা নয়। আল্লাহই পারে আমাদের ভবিষ্যৎকে বদলে দিতে। আর কেউ নয়। উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়কিরণ যাদব বলেন, কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ধরনের নির্দেশনা জারি করতে পারেন না। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।