পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলনে ভারতীয় সাংবাদিকদের হেনস্তা


প্রকাশিত: ০৯:২৯ এএম, ০৭ আগস্ট ২০১৬

পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলনে ভারতীয় সাংবাদিকদের হেনস্তা করা হয়েছে। সার্ক সম্মেলনে ভারতীয় সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য কভার করতে দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র রাজনাথের বক্তব্য কভার করতে দেওয়া হয়নি তাই নয় সম্মেলনের প্রবেশদ্বারের কাছে দাঁড়িয়ে থাকার অনুমতিও মেলেনি ভারতীয় সাংবাদিকদের।

যে ছয় সাংবাদিককে ওই সম্মেলন কভার করার জন্য ভিসা দেওয়া হয়েছিল তাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্মেলনের প্রবেশদ্বারের কাছে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিসার আলি খান চৌধুরী। রাজনাথ সিং পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবি তুলতে ছুটে যান পাক সাংবাদিকরা। একইভাবে ছবি তুলতে যান ভারতীয় সাংবাদিকরাও। কিন্তু সম্মেলনের প্রবেশদ্বারের কাছে দাঁড়ানোর অনুমতি দেয়া হয়নি ভারতীয় সাংবাদিকদের। সেখান থেকে তাদের চলে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

দূরদর্শনের চিত্রগ্রাহক আর জয়শ্রী ও এএনআইয়ের চিত্রগ্রাহক অজয় কুমার শর্মাকে ক্যামেরা সরিয়ে নিতে বলা হলে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানান এক ভারতীয় কূটনীতিক। কিন্তু তাদের কোনো কথাই শোনেন নি পাকিস্তানের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন ওই জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে ভারতীয়দের। এমনকি ভারতীয় সাংবাদিকদের আটকানোর জন্য অধীনস্থ কর্মীদের নির্দেশ দেন কর্মকর্তারা। পুলিশ দিয়ে তাদের এমনভাবে ঘিরে রেখেছিল যেন তারা কোনও ছবি বা ভিডিও নিতে না পারেন। সেজন্যই দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কোনও ছবি আসেনি ভারতীয় সাংবাদিকদের হাতে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের তরফ থেকে বলা হয়েছে, সম্মেলন চলাকালীন সময়ে ফোন করতে অন্তত আটবার ওয়াশরুমে যান রাজনাথ। অথচ ওয়াশরুম ছিল সম্মেলনের বাইরে। সেখানে দু’বার মাত্র যেতে দেখা গেছে রাজনাথকে। এছাড়া, ভারতে থাকলেও কোনও মোবাইল ব্যবহার করেন না রাজনাথ সিং। খুব কমই ফোনে কথা বলেন তিনি। সেখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্মেলনে তো তার ফোনে কথা বলার প্রশ্নই আসে না। তবে সেখানে আসলে কি ঘটেছিল সেটা সেখানকার উপস্থিত লোকজনই বলতে পারবেন। কিন্তু দু`দেশ একে অন্যের ওপর দোষ চাপালে সত্যি ঘটনা কখনোই জানা যাবে না।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।