বাবুলের বিয়েতে অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা করলেন মমতা


প্রকাশিত: ০৬:৪০ এএম, ০৭ আগস্ট ২০১৬

শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বিয়ে আগামী ৯ অাগস্ট। বিয়ে উপলক্ষে দিল্লিতে একটি সরকারি হোটেলের কনভেনশন সেন্টারে অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। একদিকে তিনি দেশের জনপ্রিয় শিল্পী অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর একারণে বাবুলের অতিথি তালিকাও বেশ সুদীর্ঘ।

প্রধানমন্ত্রী থেকে বাবা রামদেব আবার হেমামালিনী থেকে শ্রেয়া ঘোষাল কেউই বাদ পড়েননি বাবুলের আমন্ত্রণের তালিকা থেকে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আলাদা করে আমন্ত্রণ জানাতে ভোলেননি বাবুল। পাশাপাশি এসএমএস করে জানতে চেয়েছেন দিদি আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন কি না।

মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গেই বাবুল ও তার স্ত্রীকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সে দিনের অনুষ্ঠানে আসার অপারগতা জানান। কারণ তখন তিনি ত্রিপুরায় থাকবেন। কিন্তু বিয়ের পর নতুন বউয়ের সঙ্গে বাবুলকে বিশেষ আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি।

তবে এখানেই শেষ নয়। বাবুলকে তার অতিথিদের বিভিন্ন হোটেল ও সরকারি নিবাসে থাকার বন্দোবস্ত করতে হচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গভবনে অতিথিদের জন্য খানদশেক ঘর বুক করতে চেয়েছিলেন তিনি। এই কাজে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সাহায্য চান বাবুল। অরূপ বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতেই সঙ্গে সঙ্গে মমতা নির্দেশ দেন দশটি ঘর বাবুলের জন্য দেওয়া হোক। বাবুলের কাছ থেকে ঘরের ভাড়াও যেন নেয়া না হয় সেজন্যও নির্দেশ দেন মমতা। এই কয়দিনে অতিথি বাবদ যা খরচ হবে তা মমতা নিজেই দেবেন বলে জানিয়েছেন অরূপকে।

মমতা সম্পর্কে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, দিদির দিক থেকে তো এটা নতুন নয়। রাজনৈতিক বিরোধের জায়গায় বিরোধ থাকে। কিন্তু সৌজন্যের রাজনীতিতে দিদি সব সময়ই এগিয়ে ছিলেন। জ্যোতিবাবুর সঙ্গে যখন চূড়ান্ত লড়াই চলছে, সেই সময়েও জ্যোতিবাবুর জন্মদিনে দিদি বাড়ি গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে এসেছিলেন।

এদিকে, মমতা-বাবুলের সৌজন্য বিনিময় ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই মনে করছে দিল্লির রাজনৈতিক মহল। বাবুল নিজে বলছেন, আমি আপ্লুত। রাজনৈতিক নয়, ক্রিকেটীয় ভাষায় বলব, ক্লিন বোল্ড। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, বিজেপির মন্ত্রী হয়েও তিনি শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছেন। তার বক্তব্য, ঝালমুড়ি এপিসোডের বিতর্কের মধ্যেও তিনি অবিচল থেকেছেন। কারণ ব্যক্তিগত স্তরে তিনি সর্বদাই সৌজন্যের রাজনীতির পক্ষে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।