প্রশাসনের নাকের ডগায় বিক্রি হচ্ছে ধর্ষণের ভিডিও
ভারতের উত্তরপ্রদেশে প্রশাসন ও পুলিশের নাকের ডগায় প্রত্যেকদিন ধর্ষণের শত শত ভিডিও বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তরুণী থেকে শুরু করে গৃহবধূ সব বয়সীদের ভিডিও মিলছে টাকায়। গ্রাহকের চাহিদা মাফিক সবরকম ভিডিও বিক্রি করছে একটি চক্র।
তবে ধর্ষণের নৃশংসতা ও কত মিনিটের ক্লিপিংস, সে অনুযায়ী নির্ধরিত হচ্ছে এসব ভিডিওর দাম। এতে ৩০ সেকেন্ড থেকে ৫ মিনিটেরও ভিডিও রয়েছে। দাম মাত্র ৫০ রুপি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫০ রুপিতেও বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কিছুদিন আগেও রাজ্যে পর্ন ভিডিও ক্লিপিংস লুকিয়ে বিক্রি হত। কিন্তু ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন পর্ন ভিডিওর চাহিদায় ভাটা পড়েছে। চাহিদা বেড়েছে ধর্ষণ দৃশ্য ক্যামরাবন্দীর ভিডিও। রেহাই পাচ্ছে না কম বয়সী তরুণীরাও।
স্কুলে যাওয়ার পথে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে রাস্তার পাশে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। ধর্ষণের সময় এক দুর্বৃত্ত স্মার্টফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ বলছে, এই ভিডিও পরে ধর্ষিত তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল করার কাজেও ব্যবহার করা হয়েছে। এই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশ একাধিকবার চিরুণি তল্লাশি চালিয়েছে প্রদেশের তাজগঞ্জ ও সাদার এলাকায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হলেও মামলা দায়েরের আগেই ধর্ষণের শিকার তরুণীর পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয় বলে দাবি পুলিশের।
উত্তরপ্রদেশের বেলালগঞ্জ, বালকেশ্বর, কমলানগরে এরকম ভিডিও কিনতে পাওয়া যাচ্ছে প্রকাশ্যে। একই চিত্র দেখা যায় মীরাট-সহ অন্যান্য শহরেরও। কয়েকদিন আগে মীরাটের ২১ বছরের এক তরুণী অনলাইনে তার নগ্ন ভিডিও দেখতে পেয়ে আত্মহত্যা করেন।
আগ্রা শহরের পুলিশ সুপার ঘুলে সুশীল চন্দ্রভান টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, অতীতে অামরা তাজগঞ্জ ও সদর এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছি এবং নগ্ন ভিডিও ও পাইরেটেড চলচ্চিত্র বিক্রির অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছি। আমরা এ ধরনের তল্লাশি অব্যাহত রাখবো।
এসআইএস/পিআর