এশীয় বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীদের জন্য অক্সফোর্ডের বিশেষ সুযোগ
বিশ্বের সেরা এবং নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেখানে এশীয় বংশোদ্ভূত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম বলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
এশীয় বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে অক্সফোর্ড। এর অংশ হিসেবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এডমিশন্স অ্যান্ড আউটরীচ কর্মসূচীর শিক্ষক ডক্টর সামিয়া খান এক দল ছাত্র-ছাত্রীকে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখাতে নিয়ে এসেছেন।
যেসব ছাত্র-ছাত্রী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করার কথাই হয়তো ভাববে না তাদেরকে উৎসাহিত করাই এর লক্ষ্য।
যুক্তরাজ্যে শ্বেতাঙ্গ ছাত্র-ছাত্রীদের তুলনায় ব্রিটিশ-পাকিস্তানি, বাংলাদেশি বা ভারতীয়দের আন্ডাগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় অর্ধেক। এদের মধ্যে যতজন ভর্তির জন্য আবেদন করেন তাদের মাত্র ১১ দশমিক দুই শতাংশই ভর্তির সুযোগ পায়।
ড. সামিয়া খান বলেন, এর একটা কারণ এশীয় শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিসিনের মতো সবচেয়ে বেশি চাহিদার কোর্সগুলোতে ভর্তির চেষ্টা করেন।
অভিজাত এবং সুবিধাভোগী শ্রেনীর প্রতিষ্ঠান হিসেবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি একটা বড় কারণ বলে স্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে এই গতানুগতিক ভাবমূর্তি বদলাতে হবে এবং দেখাতে হবে যে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
টিটিএন/আরআইপি