হিলারির ইমেইল হ্যাক করতে রাশিয়াকে ট্রাম্পের আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে সরকারি কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পর হিলারি ক্লিনটন ত্রিশ হাজার ইমেইল তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেননি। সেই ইমেইলগুলো অপ্রকাশিতই রয়ে গেছে। খবর বিবিসির।
এদিকে, ক্লিনটনের ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সেগুলো প্রকাশ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প তার প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল হ্যাক করতে রাশিয়াকে উৎসাহ যোগাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ডেমোক্রেট দলের সদস্যরা।
কয়েকদিন আগে ডেমোক্রেট দলের আরেক প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্সের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সংক্রান্ত কিছু ইমেইল ফাঁস হবার পর প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মন্তব্য করেছিলেন, এর পেছনে রাশিয়ার হাত থাকতে পারে। এরপরই এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।
ট্রাম্প বলছেন, ‘রাশিয়া, যদি তুমি এ বক্তব্য শুনে থাকো, আমি আশা করি হারিয়ে যাওয়া সেই ত্রিশ হাজার ইমেইল তুমি খুঁজে বের করতে পারবে। আমার ধারণা এজন্য আমার দেশের গণমাধ্যম একদিন তোমাদের ধন্যবাদ দেবে।’
ইতোমধ্যেই নিজের বক্তব্যের জন্য আলোচিত সমালোচিত ট্রাম্প নিজের স্বভাবসুলভ হালকা মেজাজেই ঐ বক্তব্য রেখেছিলেন। কিন্তু এখন সেটিই হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াইরত দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রধান বিতর্কের বিষয়।
যদিও ঐ বক্তৃতার পরই নিজের টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, যদি কেউ হারানো মেইলগুলো খুঁজে পায়, তাহলে সেগুলো এফবিআই এর কাছে তুলে দেয়া উচিত হবে।
কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। এখন অভিযোগ দাঁড়িয়েছে, ডেমোক্রেট ন্যাশনাল কমিটির ইমেইল হ্যাকিংয়ের জন্য রাশিয়া দায়ী এবং তা করতেও উৎসাহ যুগিয়েছেন ট্রাম্প।
যদিও রাশিয়া এবং ট্রাম্প এধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্প বলছেন, এটি ছিল একটি দূর কল্পনা। এটা এতো হাস্যকর। কিন্তু রাশিয়ার আমাদের দেশের জন্য কোন সম্মান নেই। তারা এটা করতে পারে, কিংবা হয়তো চীন করেছে বা নিজের বিছানায় শুয়ে অন্য কেউ করেছে। কিন্তু এটা দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা দুর্বল।
রাশিয়া এই ইমেইল হ্যাকের সঙ্গে জড়িত ছিল এমন সম্ভাবনাকে বুধবার রাতেই নাকচ করে দেন ট্রাম্প। তবে ডেমোক্রেটরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মত একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিদেশী শক্তিকে নিজের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নজরদারি করতে আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
টিটিএন/আরআইপি