বাংলাদেশে শাখা খুলতে চায় আইএস


প্রকাশিত: ১১:৪৩ এএম, ২০ জুলাই ২০১৬

ইসলামিক স্টেটের অনুসারী ভারতের জঙ্গিগোষ্ঠী জুনুদ-উল-খলিফা ফিল হিন্দ (জেকেএইচ)-এর আটককৃত জ্যেষ্ঠ এক সদস্য দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, বাংলাদেশে শাখা খুলতে চায় আইএস। গত বছর ভারতে জঙ্গিবিরোধী এক অভিযানে জেকেএইচের ওই নেতাকে আটক করে দেশটির পুলিশ। পরে এনআইএ`র জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানায় জেকেএইচের ওই শীর্ষ নেতা।

মঙ্গলবার ভারতের একটি বিশেষ আদালতে আইএসের ভারতীয় শাখার ডেপুটি মোহাম্মদ নাফিস খানসহ আরো একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ভারতে আইএসের শাখা জেএইচকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে বাংলাদেশেও শাখা প্রতিষ্ঠা করতে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে বলে এনআইএনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে আইএসের ভারতীয় শাখার এই শীর্ষ নেতা।

ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বুধবার বলা হয়েছে, সম্প্রতি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে ঢাকা। এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ বিদেশি। আইএস হামলার দায় শিকার করলেও ঢাকার দাবি স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠী জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এ হামলায় জড়িত।

সিরিয়ায় আইএসের ভারতীয় নিয়োগদাতা শাফি আর্মার আলিয়াস ইউসুফ আল হিন্দিসহ জেএইচকের ১৬ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে এনআইএ। গেরিলা হামলা চালাতে দেশটির ঝাড়খণ্ডের নকশালপন্থীদের হামলার কৌশল রপ্ত করেছে জেএইচকের সদস্যরা।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, জেএইচকের সমন্বয় সভায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ আজহার খান বলেন, তাদের লড়াই ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে, নকশালপন্থীদের মতো গেরিলা কৌশল অনুসরণের পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া গোপনে সংগঠনের কাজ করার জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় জমি কেনা উচিত বলেও সে সময় সভায় পরামর্শ দেন।

এনআইএনর জিজ্ঞাসাবাদে ভারতে আইএসের প্রধান হিসেবে মুদাব্বির শেইখকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানান আইএসের ভারতীয় শাখার ডেপুটি মোহাম্মদ নাফিস খান। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে অন্তত ৩০০ ভারতীয় নাগরিক আইএসে যোগ দেয়ার জন্য প্রস্তুত।

মোহাম্মদ নাফিস খানের দাবি, তারা বাংলাদেশ-আসাম সীমান্ত থেকে একে-৪৭ ও আরডিএক্সসহ গোলাবারুদ এবং গ্রেনেড সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।