সিরিয়ায় আইএস পরিচালিত স্কুল


প্রকাশিত: ০৩:২৭ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৬

সিরিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা যতোই পিছু হটছে ততোই তাদের শাসন ব্যবস্থার নমুনা বেরিয়ে আসছে।

দেশটির উত্তরাঞ্চল থেকে জঙ্গিরা পালিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার একটি পরিত্যক্ত স্কুলের ভেতরে ঘুরে আইএসের বিভিন্ন নিয়মকানুন চোখে পড়েছে। মানবজ প্রদেশের ওই স্কুলটি আইএস জঙ্গিরা পরিচালনা করত। খবর বিবিসির।

কুর্দি যোদ্ধাদের আক্রমণে আইএস জঙ্গিরা ওই এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও ওই স্কুলটি পুরোপুরি আইএসের দখলে ছিল।

ওই এলাকা থেকে আইএসরা পালিয়ে যাওয়ার পর স্কুলের ভেতরে ঘুরে শিল্পকলা বা আর্টস এন্ড ক্রাফটসের ক্লাসের মেঝেতে কাগজ দিয়ে তৈরি কিছু মানব দেহ চোখে পড়েছে। এগুলোর আকার একজন মানুষের সমান।

ধারণা করা হচ্ছে, আইএস তাদের ওপর বিমান হামলায় শত্রুদের বিভ্রান্ত করার জন্যই এগুলো তৈরি করেছে। যেন শত্রুরা ভুল করে এগুলোর ওপর বোমা হামলা চালায়।

এছাড়া স্কুলের রান্নাঘরের দরজায় রুশ ভাষা কিচেন লেখা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই স্কুলের দায়িত্বে থাকা অধিকাংশ আইএস সদস্যই চেচেন। ফরাসী এবং ইংরেজিতে বেশ কিছু নাম পাওয়া গেছে। এরা অধিকাংশই অন্যান্য দেশ থেকে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছে।

স্কুলের এক জায়গায় আরবীতে স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের নাম লেখা রয়েছে। আরেকটি শ্রেণী কক্ষে দেখা গেছে সেখানে পদার্থবিদ্যা পড়ানো হতো। সাদা বোর্ডে গণিতের কিছু সূত্র ও সমীকরণ লেখাও পাওয়া গেছে।

স্কুলে ফেলে যাওয়া যেসব বই পাওয়া গেছে সেগুলোর বেশিরভাগই আরবিতে লেখা ধর্মীয় বই। বোমা হামলার সময় কোথায়, কিভাবে আশ্রয় নিতে হবে তার বর্ণনাও রয়েছে বেশ কিছু বইয়ে।

একটি বড় আকারের পোস্টার পাওয়া গেছে স্কুলে যেখানে বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি কেমন হবে তা বর্ণনা করা হয়েছে।

অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, কেউ যদি সমকামী হয় তাহলে তাকে ভবনের উপর থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হবে, চুরি করলে হাত কেটে ফেলা হবে এবং অ্যালকোহল পান করলে তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। আর কেউ যদি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাহলে তার গলা কেটে মৃতদেহ প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখা হবে।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।