ভারতে মেদযুক্ত খাবারে কর আরোপ


প্রকাশিত: ০৫:১৩ এএম, ১৭ জুলাই ২০১৬

ফ্যাট ট্যাক্স বা মেদযুক্ত খাবারের ওপর কর আরোপ করছে কেরালা সরকার। এখন বার্গার, পিজা, ডোনাট কিংবা টাকোর মতো পশ্চিমা খাবার খেতে হলে অতিরিক্ত পয়সা গুনতে হবে কেরালাবাসীকে। খবর বিবিসির।

প্রদেশের সদ্যনির্বাচিত কম্যুনিস্ট সরকার বলছে, মানুষ যাতে তাদের খাবারের বিষয়ে আরো সচেতন হয় সেই উদ্দেশ্যেই এই কর আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পছন্দের পিজা অর্ডার দেয়া কিংবা বার্গারে কামড় বসানো এখন কেরালাবাসীর জন্য আরো ব্যয়বহুল হয়ে দাড়াচ্ছে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট চেইনের ফাস্ট ফুডের ওপর সাড়ে ১৪ শতাংশ কর আরোপের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কেরালা সরকার। এই করকে বলা হচ্ছে ফ্যাট ট্যাক্স বা মেদের ওপর কর।

এর আগে জাঙ্ক ফুড বা মেদবহুল খাবার থেকে মানুষকে দূরে সরাতে এ ধরনের কর আরোপ করা হয়েছে ডেনমার্ক এবং হাঙ্গেরিতে। ভারতের জন্য এই উদ্যোগ সম্পূর্ণই নতুন এবং অনেকের কাছেই এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। যার ফলে এর প্রতিক্রিয়াও মিশ্র।

অনেকে মনে করছেন এটি সঠিক পদক্ষেপ। তাদের মতে, জাঙ্ক ফুডের কারণে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মানুষ যখন নিজেদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিচ্ছে না, তখন সরকারকে কিছু উদ্যোগ নিতে হবে যাতে করে মানুষজন এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে সরে এসে তাদের স্বাস্থ্যের উপযোগী খাবারে ফিরে যায়।

আবার অনেকের মতে, এই উদ্যোগে খুব একটা ফলপ্রসু হবে না। তারা বলছেন, মানুষের যদি আগ্রহ থাকে তাহলে সে এসব খাবার খাবেই। কর বসালেও কোন লাভ হবে না।

ভারতে সবচেয়ে বেশি স্থুলতার হারের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কেরালা। আর এই কারণ দেখিয়েই কেরালার সরকার বিভিন্ন ফাস্ট ফুড চেইন যেমন ম্যাকডোনাল্ডস, ডমিনোস কিংবা পিজা হাটের ওপর এই বিশেষ কর আরোপ করছে।

সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, এ ধরনের রেস্টুরেন্ট চেইনগুলোই তরুণদের আরো স্থূল করে তুলছে এবং উচ্চমূল্যের কারণে তারা এ ধরণের খাবার খেতে গিয়ে দু`বার চিন্তা করবে। কিন্তু স্থানীয় বড়া ডাল কিংবা কলা ভাজিসহ আরো বেশ কিছু খাবারও উচ্চ ক্যালরিসম্পন্ন এবং জনপ্রিয় হলেও এসব খাবারে কোনো কর আরোপ করা হচ্ছে না।

এ কারণে অনেকেই এই কর আরোপকে আসলে স্থূলতার বিরুদ্ধে কোন উদ্যোগ নয় বরং বহুজাতিক রেস্তোঁরাগুলোর ওপর এক ধরনের আঘাত হিসেবে দেখছেন।

সরকার বারবার নিজেদের পরিকল্পনার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরলেও অনেক খাদ্য বিশেষজ্ঞই মনে করছেন খাবারের ওপর কর আরোপ করা সঠিক পদক্ষেপ নয়।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।