সেনা অভ্যুত্থান : যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তুরস্কের হুঁশিয়ারি


প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৬

শুক্রবার রাতে ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে আকস্মিক সেনা অভ্যুত্থানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করেছে তুরস্ক। তাকে আশ্রয় দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। যে দেশই গুলেনকে সমর্থন করবে বা আশ্রয় দেবে, সে দেশের বিরুদ্ধেই যুদ্ধে জড়ানোরও হুমকি দিয়েছে তুরস্ক।

আকস্মিক ও বেপরোয়া সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় বেশ ক্ষিপ্ত তুরস্ক সরকার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ফেতুল্লাহ গুলেনকে যে দেশই সমর্থন জানাবে, তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর অবস্থান নেয়া হবে। সেটা যুদ্ধের পর্যায়েও যেতে পারে।

তিনি আরো বলেন, যে দেশ ফেতুল্লা গুলেনকে আশ্রয় দেবে সেই দেশই তুরস্কের শত্রু।

বর্তমানে মধ্যপন্থী এই নেতা যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বসবাস করছেন। স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন নিয়েছিলেন ফেতুল্লা গুলেন।

শুক্রবার রাতে আকস্মিক ওই সেনা অভ্যুত্থানের পেছনে ফেতুল্লাহ গুলেনকে সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে। তবে গুলেনের হিজমেত আন্দোলন এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

ফেতুল্লা গুলেন

১৯৪১ সালের ২৭ এপ্রিলে জন্ম নেয়া গুলেন একজন সাবেক ইমাম এবং লেখক। তিনি গুলেন আন্দোলনের জনক। তুরস্কে এই আন্দোলন হিজমেত আন্দোলন নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের সেইলর্সবার্গে বসবাসরত গুলেন হানাফি মাজহাবের অনুসারী।

তিনি আন্তঃধর্মীয় বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তুরস্কের ভবিষ্যৎ ও আধুনিক বিশ্বে ইসলাম নিয়ে তৈরি হওয়া সামাজিক বিতর্কের একজন সরব বক্তা।

২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বন্ধু ছিলেন। কিন্তু সে বছর তুরস্ক সরকারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের সূত্র ধরে তাদের সম্পর্কে চির ধরে।

টিটিএন/এসএইচএস/এবিএস/এমএফ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।