দায়িত্বে ফিরলেন সেই সেনাপ্রধান


প্রকাশিত: ০৭:১৩ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৬

তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার ঘটনায় নিখোঁজ সেনাপ্রধান হুলুসি আকারকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট রেডিটের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উদ্ধারের পরপরই আবার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন হুলুসি। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এর আগে বলেছিলেন, দেশটির সেনাপ্রধান হুলুসি আকার কোথায় আছেন, কী অবস্থায় আছেন তা কেউ জানে না। এ কারণে জেনারেল উমিত দুনদারকে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান অংশ এজিয়ান আর্মির কমান্ডার চিফ মেজর জেনারেল মেমদুহ হাকবিলেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সেনাপ্রধান হুলুসি আকারের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছিল তিনি অভ্যুত্থানকারীদের হাতে বন্দি রয়েছেন। এ কারণেই তাৎক্ষণিকভাবে তার পরবর্তী পদমর্যাদার জেনারেল উমিত দুনদারকে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।

সেনাবাহিনীর একাংশের ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত  ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় আহত হয়েছে আরো এক হাজার মানুষ। এদের মধ্যে আট শতাধিক মানুষকে আঙ্কারায় এবং বাকি ২০০ জনকে ইস্তানবুলের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৭৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই সেনাবাহিনীর সদস্য।

এর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশের ক্ষমতা দখলের দাবি করেছিল সেনাবাহিনী। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান সরকারকে হটিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের যে চেষ্টা চলছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

অভ্যুত্থান ঘিরে গোলাগুলি, বিস্ফোরণের মধ্যেই ইস্তানবুলে জনতার উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি দাবি করেছেন, অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে। দেশের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই রয়েছে।

তবে  হুলুসি আকারকে কোথায়, কীভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছিল বা তাকে কীভাবে উদ্ধার করা হলো সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

টিটিএন/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।