তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টায় নিহত ৬০


প্রকাশিত: ০৬:২৩ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৬

তুরস্কে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় রাজধানী আঙ্কারায় শুক্রবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। খবর বিবিসির।

এদিকে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের যে চেষ্টা চলছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান।

অভ্যুত্থানের মুখেই এর্দোয়ান ইস্তানবুলে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পর সমর্থকরা তাকে ঘিরে রেখেছেন। টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে সেনা অভ্যুত্থানের এই চেষ্টাকে রাষ্ট্রদ্রোহ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত দেশের সামরিক বাহিনীর ৭৫৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। ইতোমধ্যেই দেশের ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান নিয়োগ করা হয়েছে। জেনারেল উমিত দুনদারকে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।

এর্দোয়ান এর আগে বলেছিলেন, দেশটির সেনাপ্রধান হুলুসি আকার কোথায় আছেন, কী অবস্থায় আছেন তা কেউ জানে না। এ কারণেই নতুন ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে।  

অভ্যুত্থানের সময় ইস্তানবুলের রাস্তায় সেনা সদস্যদের কৌশলী অবস্থান নিতে দেখা গেছে এবং আঙ্কারায় খুব কম উচ্চতায় বিমান উড়তে দেখা গেছে। ইস্তানবুলের তাকসিম স্কয়ারের কাছে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে।

আঙ্কারায় পার্লামেন্ট বিল্ডিংয়েও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সিএনএন তুর্কি ব্রডকাস্টারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল সেনাবাহিনী এবং তাদের সরাসরি সম্প্রচারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

সেনা অভুত্থানের এই চেষ্টার পেছনে কাদের কতটা সমর্থন রয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের কয়েকজন আটক হয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।