অভ্যুত্থান ব্যর্থ : এর্দোয়ান


প্রকাশিত: ০৪:১৭ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৬

তুরস্কের বর্তমান সরকারকে হটিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের যে চেষ্টা চলছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। অভ্যুত্থান ঘিরে গোলাগুলি, বিস্ফোরণের মধ্যেই ইস্তাম্বুলে জনতার উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ দাবি করেছেন তিনি।

এরদোয়ান বলেছেন, অভ্যুত্থান ব্যর্থ, সরকারের হাতেই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

সরাসরি সম্প্রচারিত ভাষণে এরদোয়ান নাম উল্লেখ না করে সবকিছুর জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করেছেন।  

তিনি বলেন, যারা পেনসিলভেনিয়ায় রয়েছেন, তাদের উদ্দেশে বলছি। জাতির সঙ্গে যে প্রতারণা আপনি করেছেন তা যথেষ্ট। সাহস থাকলে, যদি পারেন তো নিজের দেশে ফিরে আসুন।

এর আগে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তুরস্কের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা শুরু করে সামরিক বাহিনীর একটি অংশ। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তখন দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মারমারিস হলিডে রিসোর্টে ছিলেন। সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার খবর পেয়ে ইস্তাম্বুলে ফিরে আসেন তিনি।

শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গোলাগুলি, বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

ক্ষমতা দখলের দাবি করে রাতে দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে সশস্ত্র বাহিনী তুরস্কের ক্ষমতা দখল করেছে। দেশটির গণমাধ্যমেরও নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।

তবে তুরস্কের সেনাপ্রধান কোথায় আছেন সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। এদিকে রাতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা শুরুর পর থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। ইস্তাম্বুলের তাকসিম স্কয়ারের কাছে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে। রাজধানী আঙ্কারায় পার্লামেন্ট ভবনেও বিস্ফোরণের খবর রয়েছে। মনে করা হচ্ছে এমপিরা কোথাও লুকিয়ে রয়েছেন।

সেনা অভুত্থানের চেষ্টার পেছনে কাদের, কতটা সমর্থন রয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের কয়েকজন আটক হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তুরস্কের সব রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সমর্থন জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার সকালের দিকে এরদোয়ান বলেন, যারা ট্যাংক নিয়ে নেমেছেন তারা যেখান থেকে এসেছেন সেখানে ফিরে যেতে হবে। অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের সন্ত্রাসী বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি।

এর আগে ১৯৯৩, ১৯৮০, ১৯৭১ ও ১৯৬০ সালেও তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের খবর রয়েছে। 

এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।