নিস হামলাকারী তিউনিশীয় নাগরিক


প্রকাশিত: ০৬:৩০ এএম, ১৫ জুলাই ২০১৬

ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় নিস শহরে জাতীয় দিবস উদযাপনের সময় ট্রাক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত শতাধিক। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে তিউনিশিয়ান বংশোদ্ভূত ফ্রান্সের এক নাগরিক ওই হামলা চালায়।

সন্দেহভাজন হামলাকারীর বয়স ৩১ বছর। দুই দেশের নাগরিকত্ব ছিল বলে স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার না করলেও হামলার পেছনে আইএস জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত তথ্যের জন্য সমর্থকদের অপেক্ষা করতে বলছে আইএস নিয়ন্ত্রিত সংবাদসংস্থা আমাক নিউজ অ্যাজেন্সি।

ফরাসি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ওই হামলার পর তদন্ত শুরু করেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, হামলায় ব্যবহৃত ট্রাক থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ বলছে, হামলাকারী নিস শহরেই বসবাস করতেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হামলার পর ফ্রান্সের পুলিশ বলছে, এর আগে ওই হামলাকারী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে তাদের কাছে তথ্য আছে। তবে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য ছিল না বলে ব্রিটিশ দৈনিক এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল আইটেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরের একটি রেস্তোঁরায় ট্রাক হামলাকারীর সঙ্গে আরো এক বন্দুকধারী স্বাক্ষাৎ করেছিল। তবে সেখানে কোনো জিম্মি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি আইটেল। হামলার পর ট্রাক থেকে বেরিয়ে এক ব্যক্তি পায়ে হেঁটে পাশের একটি রেস্তোঁরায় ঢুকে পড়ে। লে বাফেলো নামের রেস্তোঁরায় ঢুকে পড়গা ওই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।

আল্পস সামুদ্রিক বিভাগের শীর্ষ পর্যোয়র রাজনীতিবিদ এরিক সিওট্টি বলেন, গুলি বিনিময়ের পর হামলাকারী ট্রাকচালককে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।

ফরাসি দৈনি লে ফিগারো পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ট্রাকের ভেতর থেকে অস্ত্র, বন্দুক ও গ্রেনেড উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে এ হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে ধারণা স্থানীয় প্রশাসনের। সর্বশেষ এ হামলাসহ গত বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ১০টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটলো।  

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।