সন্ত্রাস মোকাবিলায় ট্রাম্প হিলারির ভিন্ন পথ


প্রকাশিত: ০৪:৫৩ এএম, ১৫ জুলাই ২০১৬

ফ্রান্সে বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর সন্ত্রাস মোকাবিলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রত্যাশী দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটনের কথায় ভিন্নতা উঠে এসেছে। অর্থাৎ সন্ত্রাস মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে তাদের মধ্যে যে সূক্ষ পার্থক্য রয়েছে তা আবারো চিহ্নিত হলো। ট্রাম্প বলছেন, আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঘোষণার পক্ষে তিনি। অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছেন হিলারি।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্সের নিস শহরে বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে ভিড়ের মধ্যে ট্রাক চালিয়ে দিয়ে অন্তত ৭৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্য হামলাকারীর সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠিী আইএসের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে এ হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা বলেই মনে করা হচ্ছে।

ফক্স নিউজের বিল ও’রেইলি ট্রাম্পের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য তিনি কংগ্রেসের অনুমোদন চাইবেন কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, চাইবো, চাইবো। এটা যুদ্ধই। আপনি যদি লক্ষ্য করেন দেখবেন, সব দিক থেকেই এটা যুদ্ধ।

সিরিয়ার শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আরো কঠোর হওয়ার যে কথা ট্রাম্প বলে আসছেন এদিন আবারও তা পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।

ট্রাম্প বলেছেন, আপনি জানেন, আগে যুদ্ধের একটা নির্দিষ্ট পোশাক ছিল, বোঝা যেত যুদ্ধটা কাদের বিরুদ্ধে হচ্ছে। এখন অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, আমরা আমাদের দেশে এমন অনেককে ঢুকতে দিচ্ছি যাদের সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই যে, তারা কারা, কোথা থেকে আসছে, কোথায় যাচ্ছে, তাদের কোনো কাগজপত্রও নেই।

অন্যদিকে হিলারি সিএনএনের পক্ষ থেকে হিলারি ক্লিনটনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে সন্ত্রাসী দলগুলোর সঙ্গে যুদ্ধাবস্থায় আছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এটা একেবাবে অন্য ধরনের এক যুদ্ধ। তার দাবি, সামরিক শক্তি নয়, গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি জরুরি।

ক্লিনটন বলেছেন, ওরা অবশ্যই চাইবে যুক্তরাষ্ট্র যেন সিরিয়ায় স্থলযুদ্ধে আসে। গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডের উপরই আমার জোর থাকবে। চরমপন্থি জিহাদি, যারা ইসলামের নাম ব্যবহার করে নিজেদের দল ভারি করছে ও নিজেদের খারাপ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে অন্যদের চরমপন্থায় উৎসাহিত করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়ছি। এ বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ না যে, আমরা তাদের কী নামে ডাকছি। বিন লাদেনকে খুঁজে পাওয়ার যে সফলতা আমাদের রয়েছে সেটার দিকে তাকালে দেখা যায়, আমরা তথ্য পেয়েছিলাম এবং প্রেসিডেন্ট অভিযানের অনুমতি দিয়েছিলেন।  

ফ্রান্স হামলার পর ওবামা যে বিবৃতি দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও ঘটনাটিকে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যায়িত করেছেন।

এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।