হাতির প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া


প্রকাশিত: ০৪:১৮ এএম, ১৩ জুলাই ২০১৬

হাতির প্রবেশ ঠেকাতে নেপাল-ভারত সীমান্তে ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। তবে এনিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে দিল্লিকে চিঠি পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। খবর বিবিসির।

বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় এই বেড়া তৈরি  করা হয়েছে। বেড়াটি সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন হাতি দল বেড়ার গোড়া আঘাত করে ভেঙ্গে ফেলতে না পারে। বিদ্যুৎ সংযোগও রয়েছে যেন হাতি বেড়া ছুঁলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।

আসাম থেকে হিমালয়ের কোল ধরে তিস্তা পেরিয়ে নেপাল পর্যন্ত হাতিদের চলাচল করার এই রাস্তাটি বহুদিনের। কিন্তু এই বেড়ার কারণে সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে হাতির দল উত্তরবঙ্গের লোকালয়ে হামলা চালিয়ে ফসল এবং বাড়িঘর নষ্ট করছে। হাতির হামলায় মানুষও মারা যাচ্ছে। একারণেই এই বেড়া নিয়ে আপত্তি করছে পশ্চিমবঙ্গ।

রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন বিবিসি বাংলাকে বলেন, এই বেড়ার কারণে হাতিরা এখন নেপালে যেতে পারছে না। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের রাজ্যে হামলা চালাচ্ছে। আমার দপ্তর থেকে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তারা বিষয়টি নিয়ে নেপালের সঙ্গে আলোচনা করে।

ভারত থেকে হাতি ঢোকা নিয়ে নেপালের ঐ সীমান্তে ক্ষোভ রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের একাংশ মনে করেন যে হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভারতকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভারতই হাতিদের নেপালের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করছে তারা।

এই অভিযোগের জন্য আগে ভারতই একটা বেড়া তৈরী করে দিয়েছিল ওই অঞ্চলে। ওই বেড়া কাজ না করায় সম্প্রতি নতুন করে উন্নতমানের বেড়া দেয়া হয়েছে। তবে এই বেড়া দেয়া হলেও তার মাঝখানে একটা করিডর রাখা উচিত ছিল বলে মনে করেন উত্তরবঙ্গে হস্তী বিশারদ রাজ বসু।

তিনি বলেন, এক কিলোমিটারের কাছাকাছি একটি করিডর রাখা উচিত ছিল। নেপালের ওই এলাকার যেসব কৃষক আছেন, তাদের ফসল আর জমির জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।