এখনই দেশে ফিরছেন না জাকির নায়েক


প্রকাশিত: ০৯:২৯ এএম, ১১ জুলাই ২০১৬

আজ সকালে দেশে ফেরার কথা থাকলেও এ মুহূর্তেই দেশে ফিরছেন না ভারতের ইসলামী বক্তা ও গবেষক জাকির নায়েক। ওমরাহ পালনের জন্য এখন তিনি সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। নিজ দেশে ফেরার টিকিট বাতিল করেছেন জাকির নায়েক। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ও ভারতে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই দুই দেশে জাকির নায়েক এবং তার পিস টিভির বিরুদ্ধে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের মুখে ভারতে ফেরার টিকিট বাতিল করেছেন তিনি। পুলিশের ধারণা, এই মুহূর্তে সৌদি আরব থেকেই একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারেন তিনি।

বাংলাদেশের রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। জঙ্গিদের মধ্যে দুজন টুইটারে জাকির নায়েককে অনুসরণ করতো। এছাড়া ভারতে বিভিন্ন সময়ে আটক হওয়া জঙ্গিরাও জাকির নায়েককে অনুসরণ করত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে জাকির নায়েককে আটকের দাবি জানিয়েছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের মুসলিম নেতারা। সম্প্রতি তার বক্তব্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার গতিবিধি খতিয়ে দেখতে ভারত সরকার ৯টি তদন্ত দল গঠন করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশেও পিস টিভির ডাউন লিংকের অনুমতি বাতিল করেছে সরকার।

তবে গণমাধ্যমের বিভিন্ন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় গুলশানে হামলার বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন জাকির নায়েক।

গুলশান হামলায় জড়িতরা জাকির নায়েককে অনুসরণ করে এমন তথ্য মিথ্যা দাবি করে জাকির নায়েক বলেন, আমার ফেসবুক ফলোয়ারের বড় অংশই বাংলাদেশি। এছাড়া বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলের মানুষই বাংলায় প্রচারিত পিস টিভিতে আমাকে দেখেন।  

৯০ শতাংশ বাংলাদেশি আমাকে চেনেন। প্রবীণ রাজনীতিক থেকে সাধারণ মানুষ, ছাত্র, শিক্ষকরা রয়েছেন সেই তালিকায়। আর এই বিপুল মানুষের ৫০ শতাংশ আমার গুণমুগ্ধ। এই অবস্থায় জঙ্গিরা যদি আমায় চেনে তাহলে কি আমার খুব বেশি অবাক হওয়ার কথা?

হত্যাকারীরা আমার বক্তব্যের সঙ্গে পরিচিত হতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই নয়, আমি তাদের অনুপ্রাণিত করেছি। আমি সাধারণত ধর্মীয় বই অনুসারে বক্তব্য দেই। আমার বক্তব্য শুনে তারা যদি সঠিক ইসলামকে বুঝতে না পারে সেটা তাদের দুর্ভাগ্য।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।