গুলশানে নৃশংসতার শিকার ইতালীয়রা : মাট্টেও রেনজি
রাজধানীর গুলশানের আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলায় হতাহতদের মধ্যে ইতালির নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাট্টেও রেনজি। তবে এ হামলায় ঠিক কতজন ইতালীয় হতাহতের শিকার হয়েছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাট্টেও রেনজি অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে বলেন, একটি সরকারি বিমান বাংলাদেশের রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। শনিবার রোমে এক সংবাদ সম্মেলনে গুলশানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিন্দা জানান তিনি।
তিনি বলেন, মৌলবাদী ইসলামী ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হয়েছি... উন্মাদনার মুখেও আমরা প্রাত্যহিক জীবন থেকে মুখ ফেরাবো না। মাট্টেও রেনজি বলেন, আমরা ভিন্ন ধরনের ফলাফলের আশায় ঢাকার ঘটনার ওপর সারারাত নজর রেখেছি।
শুক্রবার রাতে হামলার সময় গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ার ওই রেস্টুরেন্টে ১০/১১ ইতালীয় নাগরিক আটকা পড়েন। জিম্মিদশা থেকে পালিয়ে আসা এক ইতালীয় নাগরিকের বরাত দিয়ে মাট্টেও রেনজি এ তথ্য জানান।
পালিয়ে আসা ইতালীয় নাগরিক জিয়ান্নি বোসচেট্টি দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনসা’কে বলেন, আমি আমার স্ত্রীসহ সেখানে বসেছিলাম, অন্য একটি টেবিলে ৭/৮ জন ছিলেন। নিজে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও ইতালির এই নাগরিকের স্ত্রী ও অন্যদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানতে পারেননি তিনি।
এর আগে ইতালির একটি রেডিও জানায়, ওই রেস্টুরেন্টে ইতালির একজন কুক অক্ষত অবস্থায় পালিয়েছেন। তবে জিয়ান্নি বোসচেট্টিই সেই ব্যক্তি কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি ইতালি।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ধারালো অস্ত্র নিয়ে আল্লাহু আকবর বলে স্লোগান দেয় হামলাকারীরা। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ছয় হামলাকারী রয়েছেন। শুক্রবার রাতেই জঙ্গিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ২০ জনকে হত্যা করে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এসআইএস/এবিএস