আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সৌদিকে দ্বীপ হস্তান্তর করতে চান সিসি


প্রকাশিত: ০৮:৪৬ এএম, ২২ জুন ২০১৬

মিসরের অধীনে থাকা লোহিত সাগরের দুটি দ্বীপ সৌদি আরবের হাতে তুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত আদালত বাতিল করে দেয়ার পরও দ্বীপ দুটি সৌদিকে হস্তান্তর করতে চান প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসি। গত এপ্রিলে সৌদি আরব সফরে গিয়ে বাদশাহ সালমানকে সানাফির ও তিরান নামের দ্বীপ দুটি ফিরিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি।

লোহিত সাগরের পাশে ওই ছোট দ্বীপ দুইটি অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে এগুলো মিসরের দখলে রয়েছে। কিন্তু সৌদির দাবি দ্বীপ দুটি তাদের।

মুহাম্মদ মুরসিকে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা থেকে সরানো থেকে শুরু করে জেনারেল সিসি কে ক্ষমতায় বসানো এবং এর পরবর্তী জনগনের সমস্ত আন্দোলন প্রতিহত করতে নগ্নভাবে সৌদি সরকার সিসি কে সাহায্য করেছে। পুনর্বাসনের নামে নগদ অর্থ দিয়েও সিসিকে সাহায্য করেছে সৌদি।

এতদিন মানুষের ধারণা ছিল সৌদি আরবের এই সাহায্য মিশরবাসীর প্রতি তাদের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু গত বছর সবাইকে অবাক করে দিয়ে সিসি ঘোষণা দিয়েছিলেন লোহিত সাগরের ঐ দ্বীপ দুটির মালিক সৌদি আরব। কাজেই মিসর আনুষ্ঠানিক ভাবে দ্বীপ দুটি সৌদিকে দিয়ে দেবে। ওই ঘোষণার পরই সৌদির সঙ্গে সিসির এত ঘনিষ্ঠতার কারণ সহজেই বোঝা যায়। ওই ঘোষণার পর মিসর জুড়ে প্রতিবাদ এবং আন্দোলন শুরু হয়।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে ১৫৩ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। কায়রোর একটি আদালত মামলাটি আমলে নেয় এবং গতকাল সিসির সিদ্ধান্তকে বাতিল করে ঘোষণা করা হয় সিনাইয়ের দক্ষিণে লোহিত সাগরের মুখে অবস্থিত ছোট দ্বীপ দুটি মিসরের। ১৯৮২ সাল থেকে এখানে কিছু মিসরীয় সৈন্য এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া দ্বীপ দুটিতে কোন মানুষের বসতি নেই।

আদালতের এই সিদ্ধান্তে উল্লাস করেছে মিসরবাসী। কিন্তু জনগণের উল্লাসকে দাবিয়ে রেখে জেনারেল সিসি দাম্ভিকতার সঙ্গে আবারো ঘোষণা দিয়েছেন ঐ দ্বীপ সৌদি আরবের এবং তাদের কাছেই হস্তান্তর করা হবে। এখন এটাই দেখার পালা নিজের মাতৃভূমির এত বড় ক্ষতি করে অন্য দেশকে কিভাবে সহায়তা করেন সিসি।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।