ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে ধূমপান ছাড়তে বললেন এরদোয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
এরদোয়ান ও মেলোনি। ছবি: এএফপি (ফাইল)

মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সমাধান খুঁজতে যখন বিশ্বের নেতারা একত্র হন, তখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান তার দীর্ঘদিনের ধূমপানবিরোধী অভিযানের নতুন লক্ষ্য খুঁজে পেলেন।

মিশরে গাজা যুদ্ধ বন্ধে আয়োজিত শান্তি সম্মেলনের ফাঁকে এক অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় বলেছেন, তিনি মেলোনির ধূমপানের অভ্যাস ছাড়াতে চান।

তুরস্কের ইহলাস নিউজ এজেন্সির সম্প্রচারিত ভিডিওতে এরদোয়ানকে বলতে শোনা যায়, আমি দেখেছি আপনি যখন বিমান থেকে নামছিলে—দারুণ দেখাচ্ছিল। কিন্তু আপনার ধূমপানের অভ্যাস আমাকে ছাড়াতে হবে।

পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ হাসতে হাসতে বলেন, অসম্ভব!

মেলোনিও রসিক ভঙ্গিতে জবাব দেন, আমি জানি, জানি। কিন্তু ধূমপান ছাড়লে হয়তো কম সামাজিক হয়ে যাবো। আমি কারও ক্ষতি করতে চাই না।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী একবার নিজের সাক্ষাৎকারভিত্তিক একটি বইয়ে উল্লেখ করেছিলেন, ধূমপান তাকে অন্যান্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সাহায্য করেছে—বিশেষ করে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদের সঙ্গে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তুরস্ককে ধূমপানমুক্ত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবেন। তার সরকার ২০২৪-২০২৮ মেয়াদের ধূমপানমুক্ত তুরস্ক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো, ধূমপান ত্যাগে সহায়তা এবং তরুণদের তামাকের আসক্তি থেকে রক্ষা করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

মেলোনি ও এরদোয়ান অংশ নিয়েছিলেন মিশরের রেড সি উপকূলীয় শহর শারম এল-শেখে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি সম্মেলনে, যার উদ্দেশ্য ছিল গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা, ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের অবসান ঘটানো এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত ফিলিস্তিনের পুনর্গঠনের দীর্ঘমেয়াদি রূপরেখা নির্ধারণ।

সম্মেলনটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধ-সমাপ্তির প্রস্তাবের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়ার একটি উদ্যোগ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।