মাদাগাস্কারে সরকার পতন

প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বললো জেন জিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০২৫
প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছে বিক্ষোভকারীরা/ ছবি: ফেসবুক, এএফপি

জেন জি আন্দোলনে সরকার পতন হলেও এখনো রাস্তা ছাড়েনি মাদাগাস্কারের তরুণরা। প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। একই সঙ্গে, রাজধানীর প্রশাসককেও অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা সরকার ভেঙে দিয়ে তরুণদের সঙ্গে সংলাপের জন্য ‘পরিসর তৈরির’ প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, পানির সংকট ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা করা হবে।

তবে আন্দোলনকারীরা তার বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে ফেসবুক পেজে জানায়, তারা প্রেসিডেন্ট ও সদ্য বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রকাশ্য ক্ষমাপ্রার্থনা চান। একই সঙ্গে রাজধানীর প্রশাসককেও অপসারণের দাবি জানান।

এসব দাবিতে মঙ্গলবারও বিক্ষোভ করেন তরুণরা। এদিন রাস্তায় নেমে আসা অনেকে প্ল্যাকার্ডে লিখেছেন, ‘আমাদের পানি চাই, আমাদের বিদ্যুৎ চাই, রাজোয়েলিনা পদত্যাগ করো।’

বেসরকারি চ্যানেল রিয়েল টিভি মাদাগাসিকার সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, মঙ্গলবার আন্তানানারিভোর রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা মিছিল করছে। রাজধানী থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের ফেনোয়ারিভো শহরেও বিক্ষোভ হয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাজধানী থেকে ৫১০ কিলোমিটার দূরের মাহাজাঙ্গা এবং ৯৫০ কিলোমিটার দূরের দিয়েগো সুয়ারেজেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২ জন নিহত ও ১০০র বেশি আহত হয়েছেন। তবে মাদাগাস্কারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংখ্যা অস্বীকার করে বলেছে, জাতিসংঘের তথ্য গুজব ও ভ্রান্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

কেনিয়া ও নেপালের জেন জি আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চারদিন ধরে মাদাগাস্কারে এই বিক্ষোভ চলছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটিতে এটিই সবচেয়ে বড় আন্দোলন, যা ২০২৩ সালের নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত রাজোয়েলিনার জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাজোয়েলিনা প্রথম ক্ষমতায় আসেন ২০০৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। ২০১৪ সালে সরে দাঁড়ালেও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি তৃতীয় মেয়াদে জয় পান, যদিও তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ভোটে অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন।

সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।