সমকামী ছিলেন ফ্লোরিডার হামলাকারী
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওরল্যান্ডোর সমকামী নাইটক্লাবে হামলাকারী ওমর মতিনের সাবেক স্ত্রী সিতোরা ইউসুফি বলেছেন, তার সাবেক স্বামী সমকামী ছিলেন বলে তিনি সন্দেহ করতেন। ব্রাজিলের এক টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।
এসবিটি ব্রাজিল নামের ওই টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট বলছে, তার এই সন্দেহের কথা গণমাধ্যমে না জানানোর পরামর্শ দিয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
পর্তুগিজ ভাষায় সিতোরা ইউসুফির পক্ষে ওই সাক্ষাৎকারে কথা বলেন সিতোরা ইউসুফির বর্তমান প্রেমিক মার্কো দিয়াজ। ইউসুফি বলেন, মতিনের এই সমকামী চরিত্রের কথা তার বাবাও জানতেন। তার সামনেই একবার বাবা ছেলেকে সমকামী বলে ভর্ৎসনা করেছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
ইতোমধ্যে ওমর মতিনের যৌনপরিচয় নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তবে সাবেক স্ত্রীর এ নতুন তথ্য সেই সন্দেহ আরো শক্ত করবে। মতিনের সাবেক সহপাঠীর বরাত দিয়ে ফ্লোরিডার পাম বিচ পোস্ট লিখছে, ২০০৬ সালে ইন্ডিয়ান রিভার কম্যুনিটি কলেজে পড়ার সময় প্রায়ই তারা একসঙ্গে সমকামী বারগুলোতে যেতেন। ওই সহপাঠী বলেন, মতিন তাকে একদিন প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছিল। তার সন্দেহ ছিল ভেতরে ভেতরে মতিন একজন সমকামী ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে সমকামীদের ওই নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। রোববার ভোর রাতে ওরল্যান্ডোর এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫৩ জন। পালস নামে ওরল্যান্ডোর সমকামী নাইটক্লাবের একজন গায়ক স্থানীয় একটি পত্রিকাকে বলেন, ওমর মতিন তিন বছর ধরে ওই ক্লাবে যেতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি এমএসএনবিসি টিভিকে বলেছেন গ্রিনডিআর, অ্যাডাম-ফর-অ্যাডামসহ বেশ কয়টি সমকামী ডেটিংঅ্যাপ ব্যবহার করতেন ওমর মতিন।
এদিকে আইএসের বার্তা সংস্থা আমাক বলছে, তাদের এক সাহসী যোদ্ধা সমকামী নাইটক্লাবে হামলা চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করেছে।
নিহত এই জঙ্গির সাবেক স্ত্রী সিতোরা ইউসুফি বলেছেন, মতিন খুব সহিংস ছিলেন। মানসিকভাবে অস্থিতিশীল মতিন তাকে নিয়মিত পেটাতেন। এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশের গুলিতে নিহত ২৯ বছর বয়সী ওমর মতিনের উগ্র ইসলামপন্থী ভাবধারার দিকে ঝোঁক ছিল।
এসআইএস/আরআইপি