পাকিস্তানে জন্মনিরোধক বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা
টেলিভিশন ও রেডিওতে জন্মনিরোধক ও পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রীর বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পাকিস্তান ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি (পারমা) কর্তৃপক্ষ। শিগগিরই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে দেশটির সব গণমাধ্যমে চলতি সপ্তাহে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রচার মাধ্যমে অবাঞ্ছিত গর্ভনিরোধক বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর পারমা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পারমার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিষ্পাপ শিশুদের মাঝে এ ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপন কৌতূহল তৈরি করছে। এছাড়া সাধারণ জনগণ এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অভিভাবকরা এ ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপনে বিব্রত এবং জন্মনিরোধক পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে।
দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ বলছে, জন্মনিরোধক পণ্যের বিজ্ঞাপন সম্প্রচারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করা হলে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে পারমা।
পরিবার পরিকল্পনা ও যৌনতার বিষয়কে পাকিস্তানে সব সময় কড়াকড়ি দৃষ্টিতে দেখা হয়। দেশটির অনেকেই এ দুটি বিষয়কে মাদকের ন্যায় মনে করেন। গত বছর ‘নিয়মবহির্ভূত’ উল্লেখ করে একটি কনডমের বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করে পারমা।
পাকিস্তানের জনসংখ্যা বিস্ফোরণ
পাকিস্তানে জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করাকে বৃহৎ অংশের জনগোষ্ঠীর চোখে নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। যদিও দেশটির বিশেষজ্ঞরা প্রাকৃতিক সম্পদের তূলনায় জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
পাকিস্তানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বছরে ১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটির জনসংখ্যা ২৪ কোটিতে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হয়।
এই পর্যায়ে এসে যদি পাকিস্তানের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি টেনে ধরা না হয়, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে তা সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে যাবে।
জাতিসংঘ বলছে, পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ জনগণ জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী পায় না। এছাড়া পাকিস্তানে ৯৪ হাজার এইচআইভি আক্রান্ত মানুষ রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে পাকিস্তান এইডস আক্রান্তের পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটির পাখতুনখাওয়া প্রদেশেই এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার।
এসআইএস/আরআইপি