গাজায় থেমে নেই প্রাণঘাতী হামলা, আরও ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:২৯ এএম, ১১ এপ্রিল ২০২৫
ছবি: এএফপি (ফাইল)

ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেও গাজায় অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলি বর্বরতা। এতে অবরুদ্ধে উপত্যকাটিতে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সেখানে আরও ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস গাজায় ইসরায়েলের ত্রাণ অবরোধের কারণে আরও রোগ ও মৃত্যুর আশঙ্কা করেছেন। সেখানের ১০ হাজারের বেশি মানুষকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার ৮৮৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৮৭৫ জন।

যদিও উপত্যকাটির সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬১ হাজার ৭০০ জনে দাঁড়িয়েছে। কারণ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে যারা চাপা পড়েছেন আশঙ্কা করা হচ্ছে তারাও মারা গেছেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন>

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় বড় আকারের বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করেছে। শুধু তাই নয় ক্রমাগত নিজেদের নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণ করে চলেছে দখলদার ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত এই উপত্যকার ৫০ শতাংশ অংশ দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিজ ভূমিতে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছেন অধিকাংশ ফিলিস্তিনি।

এদিকে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হওয়া পিউ রিসার্চের ওই জরিপে দেখা গেছে, ৫৩ শতাংশ মার্কিন নাগরিক এখন ইসরায়েলের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং পরবর্তীতে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের আগে ২০২২ সালের মার্চে করা এক জরিপে এই হার ছিল ৪২ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানদের তুলনায় মূলত ডেমোক্র্যাটরা ইসরায়েলের প্রতি বেশি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে থাকেন। পিউ রিসার্চের জরিপে জানা গেছে, বর্তমানে ৬৯ শতাংশ ডেমোক্র্যাট এবং ৩৭ শতাংশ রিপাবলিকান ইসরায়েলকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেছেন। গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে ২০২২ সালের পর এই হার বেড়েছে ১০ শতাংশ।

সূত্র: আল-জাজিরা

এমএসএম

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।