ট্রাম্পের শুল্কারোপ, পণ্যের দাম বাড়ার শঙ্কায় ৭৩ শতাংশ মার্কিনি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিকই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, নতুন এই শুল্কনীতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে পারে। রয়টার্স/ইপসোসের করা নতুন এক নতুন জরিপ থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। ওই জরিপে ১ হাজার ২৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক অংশ নিয়েছেন।
তিন দিন ধরে চলা ওই জরিপটি গত রোববার শেষ হয়েছে। এতে দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ বলেছেন, তারা মনে করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হওয়ার পর আগামী ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। মাত্র ৪ শতাংশ বলছেন, তারা মনে করেন দাম কমবে। জরিপে অংশগ্রহণকারী অন্যদের কেউ কেউ মনে করেন কোনো ধরনের পরিবর্তন হবে না আবার কেউ কেউ প্রশ্নের উত্তর দেননি।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক দশকের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ধরনের শুল্ক আরোপের ঘটনা। অর্থনীতিবিদদের অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই পদক্ষেপের কারণে দাম বেড়ে যাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্বেই মন্দা দেখা দিতে পারে।
রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৫৭ শতাংশ বলেছেন, তারা নতুন শুল্কের বিরোধিতা করছেন। এর মধ্যে এক-চতুর্থাংশ উত্তরদাতাই ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক। প্রায় সব দেশের ওপরই শুল্ক আরোপ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
প্রায় ৩৯ শতাংশ উত্তরদাতা নতুন শুল্ককে সমর্থন জানিয়েছেন। এর মধ্যে ৫২ শতাংশ বলেছেন, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের এই যুক্তির সঙ্গে একমত যে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সুবিধা নিচ্ছে। ট্রাম্প প্রায়ই এই দৃষ্টিভঙ্গিকে অন্য দেশের জন্য নতুন বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরির কারণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন।
তার মতে, অন্য দেশের জন্য বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতে প্রসার ঘটবে। ৪৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা ট্রাম্পের এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।
- আরও পড়ুন:
- চীনের ওপর শুল্ক বেড়ে ১০৪ শতাংশ, কার্যকর বুধবার থেকেই: হোয়াইট হাউজ
- ট্রাম্পকে সমর্থনকারী ব্যবসায়ীরাও এখন সুর পাল্টাচ্ছেন
ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি নিয়ে মার্কিনিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। উত্তরদাতাদের অর্ধেক বলছেন, তারা এই বিবৃতির সঙ্গে একমত যে দীর্ঘ মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তিশালী করার জন্য যেকোনো স্বল্পমেয়াদি অর্থনৈতিক সংকট মেনে নেওয়া যায়। এই ৫০ শতাংশ উত্তরদাতার প্রায় সবাই রিপাবলিকান। বাকি অর্ধেক উত্তরদাতা (যারা সবাই ডেমোক্র্যাট) বলেছেন, তারা এই ধারণার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন।
টিটিএন