দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্যোগ প্রধান
ভয়াবহ দাবানল জলবায়ু সংকটের কঠিন বাস্তবতা উন্মোচিত করেছে

ইতিহাসে বৃহত্তম দাবানল জলবায়ু সংকটের কঠিন বাস্তবতা উন্মোচিত করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্যোগ প্রধান এ কথা বলেছেন। অতি-শুষ্ক পরিস্থিতি ও তীব্র বাতাসই মূলত ক্ষয়ক্ষতিকে ত্বরান্বিত করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দুর্যোগ ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান লি হান-কিউং বলেন, এই দাবানল আবারও জলবায়ু সংকটের কঠিন বাস্তবতা উন্মোচিত করেছে যা আমরা আগে কখনও দেখিনি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এই মৌসুমে গড়ের চেয়ে অর্ধেক বৃষ্টিপাত হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে এ পর্যন্ত অন্তত ১৮ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতাও জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন>
- দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানলে নিহত ১৮, সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
- দক্ষিণ কোরিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ২০টির বেশি দাবানল, ২ দমকলকর্মীর মৃত্যু
এর আগে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু এই পরিস্থিতিকে ‘অভূতপূর্ব সংকট’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল, যা নতুন রেকর্ড তৈরি করছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ হাজারের বেশি সেনাসহ হাজার হাজার দমকলকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হেলিকপ্টারও নিয়োগ করা হয়েছে। তবে প্রবল বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুনে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৩০০ বছর পুরোনো গৌনসা মন্দির, যা ৬১৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানল সাধারণত বিরল এবং এতে প্রাণহানির ঘটনা কম ঘটে। তবে চলমান দাবানলে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হওয়ায় এটি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী দাবানলে পরিণত হয়েছে।
সূত্র: এএফপি
এমএসএম