বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে কলকাতায় ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। একটা সময় ঈদের আগে সাধারণ ক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত থাকতো কলকাতার নিউমার্কেট চত্বর। কিন্তু চলতি বছরের ঈদের আগে বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে জমেনি কলকাতার নিউমার্কেট চত্বরের ঈদের বাজার।
নিউমার্কেট চত্বরের বিভিন্ন ছোট-বড় জামাকাপড়ের দোকান থেকে শুরু করে রাস্তার দু’ধারে সব ব্যবসায়ী নির্ভর করে সীমান্তবর্তী গ্ৰাহকদের ওপর। তবে চলতি বছরের ঈদে পদ্মাপাড়ের মানুষ কলকাতায় না থাকায় বিক্রেতারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
নিউমার্কেটে প্রবেশের মুখেই আব্দুল রাজ্জাকের ছোট একটি জামা-কাপড়ের দোকান। ঈদের বাজারে একটু ভালো ব্যবসার লোভে বেশি করে জামা কাপড় পাইকারিতে কিনেছেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের পর্যটক নেই তাই আব্দুলের মাথায় হাত।
তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশিরা আসছে না তাই ঈদের বাজার একদম নেই। যাও একটু কেনাকাটা হচ্ছে তা স্থানীয়দের জন্য। বাংলাদেশি পর্যটক একদম আসছে না।
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, বাংলাদেশীদের জন্যই নিউমার্কেটের ব্যবসা চলছিল। তারা এখন আসছে না অনেক লোকসান হচ্ছে আমাদের।
কলকাতার নিউমার্কেটের বেশ পরিচিত কাপড়ের দোকান ‘মিলন’। সারা বছর এই দোকানে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকতো। প্রত্যেক বছরই ঈদের বাজারের প্রায় ৮০ শতাংশই বাংলাদেশি পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল মিলন। এখন বাংলাদেশি ক্রেতা নেই। ভিসা সমস্যার কারনে বাংলাদেশি পর্যটক কলকাতায় আসছে না। ফলে তারা হতাশ।
মিলনের ব্যবস্থাপক চুনিলাল উমরানিয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশি না থাকায় আমাদের বেচাকেনা কম হয়েছে। স্থানীয় ক্রেতাদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। প্রত্যেক বছর রোজা শুরুর আগের থেকেই আমরা বাংলাদেশি পর্যটক ভালো পাই। এক মাস আমাদের ব্যবসায় ভালো হয়। সেই সময় স্থানীয় ক্রেতা পাওয়া যায় না।
চুনিলাল উমরানিয়া আরও বলেন, এই ঈদে সারারা-গারারা চলছে, এছাড়াও আমাদের এখানে হাতে তৈরি জামাকাপড় পাওয়া যাচ্ছে। দিল্লি থেকে বেশ কিছু বুটিক এসেছে। কিন্তু বাজার ভালো হচ্ছে না।
নিউ মার্কেট চত্বরের সদর স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদোয়াই স্ট্রিট, কলিন স্ট্রিট,এস এন ব্যানার্জি রোড, মার্কুইস স্ট্রিট-কোথাও এবার বাংলাদেশি ক্রেতা নেই। এসব অঞ্চলের হোটেলগুলোও এখন ফাঁকা।
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের আশা ভিসার জটিলতা খুব দ্রুত মিটবে এবং আরও একবার এসব অঞ্চলে পদ্মাপাড়ের মানুষদের ভিড় বাড়বে।
ডিডি/টিটিএন