মালয়েশিয়ায় বন্যা, ১০ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজার ৭০০-এর বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত ১০ হাজার ৭৬৩ জনকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা আগের রাতের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
বন্যার কারণে জোহর বাহরু শহরের কেন্দ্রস্থলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। জোহর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির তথ্যানুযায়ী, ৩ হাজার ১৮টি পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত ১০ ঘণ্টায় ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জোহর বাহরু, যেখানে ৪ হাজার ২৯১ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্লুয়াং, কোটা টিঙ্গি, পন্টিয়ান ও কুলাই এলাকায় বহু মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন।
এদিকে মালয় মেইল দেশটির উপ-যোগাযোগমন্ত্রী তেও নি চিং এর উদ্ধৃতি দিয়ে পৃথক আরও এক সংবাদে জানিয়েছে, জোহর রাজ্যের বন্যায় ছয়টি ফাইভ জি টেলিযোগাযোগ ট্রান্সমিটার স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মালয়েশিয়ার আবহাওয়া দপ্তরের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএ জানিয়েছে, রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় ‘তীব্র মাত্রায়’ টানা বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষত ক্লুয়াং, মেরসিং, পন্টিয়ান, কুলাই, কোতা তিঙ্গি ও জোহর বাহরুতে দুর্যোগ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া, টানগক, সেগামাট, মুয়ার ও বাটু পাহাতসহ মালয়েশিয়ার অন্যান্য অংশেও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে জোহরের মুখ্যমন্ত্রী ওন হাফিজ ঘাজি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সিএনএ জোহরের মুখ্যমন্ত্রীর বরাতে আরও জানিয়েছে, আমরা ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করেছি। খাদ্য, আশ্রয় এবং মৌলিক প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এছাড়া, ভবিষ্যতে এমন দুর্যোগ রোধে সেচ ও নিষ্কাশন বিভাগকে দ্রুত বন্যা প্রতিরোধ প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমএসএম