যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নির্দেশিকা কঠোর করলো ইউরোপ

বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে আটকের ঘটনায় দেশটিতে ভ্রমণ নির্দেশিকায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ইউরোপের কয়েকটি দেশ। জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ভ্রমণকারী জার্মান নাগরিকদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
একজন মুখপাত্র সরকারি গণমাধ্যম এআরডির তাগেসচাউকে বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের অনুমতি পেতে শুধু ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথোরাইজেশন (ইএসটিএ) অনুমোদন বা মার্কিন ভিসাই যথেষ্ট নয়। এসব অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যক্তিকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন>>
- ট্রাম্পের চাপে বদলে যাচ্ছে ইউরোপের অবস্থান
- যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত চাইলেন ফরাসি এমপি
- যুক্তরাষ্ট্র নয়, প্রথা ভেঙে ইউরোপ সফর করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় তিনজন জার্মান নাগরিককে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন গ্রিন কার্ডধারীও ছিলেন। পরে তাদের দুইজনকে জার্মানিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনার পর যুক্তরাজ্যও তাদের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ নির্দেশিকায় পরিবর্তন এনেছে। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয় এবং যদি কেউ আইন ভঙ্গ করে, তাহলে তাকে আটক বা নির্বাসিত করা হতে পারে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন অফিস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় নাগরিকদের সব নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।
রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর চলতি মাসের শুরুতে নিশ্চিত করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে আটক এক ব্রিটিশ নাগরিককে সহায়তা করেছে।
এছাড়াও ফিনল্যান্ডও শুক্রবার একই ধরনের ভ্রমণ নির্দেশিকায় পরিবর্তন এনে বলেছে, যথাযথ বৈধ ভ্রমণ নথি বর্তমান মার্কিন নীতির অধীনে প্রবেশের নিশ্চয়তা না-ও দিতে পারে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলোর মধ্যে ভিসা বা ইস্তা আবেদনকারীকে তার লিঙ্গ ও জন্মের সময়ের লিঙ্গ বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে বলেছে। এক্ষেত্রে কোনো অসংগতি পেলে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি বাতিল করা হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়।
এছাড়া, ফিনিশ কর্তৃপক্ষ ভ্রমণকারীদের সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে জনসমাগম এড়িয়ে চলে। কারণ, ওইসব স্থানে রাজনৈতিক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঝুঁকি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন কর্তৃপক্ষ।
ফিনল্যান্ডের সম্প্রচারমাধ্যম ইয়েলের মতে, এই কঠোর নীতিমালা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির ক্রমবর্ধমান রূপকে তুলে ধরে।
সূত্র: ইউএনবি
কেএএ/