ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা ‘আঞ্চলিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে: কাতার

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল হামলা করলে কাতার ও পারস্য উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলো ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। এমনকি হামলার তিন দিনের মধ্যে এই অঞ্চলে ব্যবহারযোগ্য ও সুপেয় পানি শেষ হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি।
শুক্রবার মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও উপস্থাপক টাকার কার্লসনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। দক্ষিণ ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কখনও হামলা হলে ইরান এবং কাতারের মধ্যে পানির অংশের কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে থানি বলেন, এই ধরনের ঘটনার ফলে উচ্চ স্তরের পানি দূষণের হবে। তখন এই অঞ্চলে পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনবে।
তার কথায়, এটি মূলত সম্পূর্ণরূপে দূষিত হবে ও তিন দিনের মধ্যে পুরো দেশে ব্যবহারযোগ্য পানি শেষ হয়ে যাবে। এটি শুধুমাত্র কাতারের জন্য প্রযোজ্য নয়, এটি কুয়েতের জন্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পারস্য উপসাগরীয় আমাদের সবার জন্য প্রযোজ্য।
সাক্ষাত্কারে কাতারের প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন, আমরা সিরিয়ায় ইরানের বিরুদ্ধে ১৪ বছর ধরে যুদ্ধ করেছি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, উভয় দেশ নিজেদের মতপার্থক্য সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখেছে।
শেখ মোহাম্মদ আল থানি আরও বলেছেন যে একজন মার্কিন কংগ্রেসম্যান তাকে তেহরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন যে এটি সম্ভব নয়। কারণ ব্যাখ্যা করতে তিনি মার্কিনীদের সামনে একটি মানচিত্র এঁকে দেখিয়ে দেন যে, কাতার ও ইরান কতটা কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফলে এই দুই দেশের সম্পর্ক ছিন্ন করা সম্ভব নয়।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সরকার বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগ্রাসন চালালে তার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেন। আরাঘচি বলেন, আমার অনুমান হলো যে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হলে, এই অঞ্চল একটি বিস্তৃত যুদ্ধে প্রবেশ করবে। যেটি এমন একটি বিপর্যয় হয়ে দাঁড়াবে, যা কেউই চায় না।
সূত্র: তেহরান টাইমস
এসএএইচ