বিশাল সিঙ্কহোল, ঝুঁকিতে শত শত মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ছবি: এএফপি (ফাইল)

ব্রাজিলের আমাজনের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত বুরিটিকুপু শহর ধীরে ধীরে মাটির নিচে চলে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কয়েক মিটার গভীর বিশাল সিঙ্কহোল কর্তৃপক্ষকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে।

মোট ৫৫ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় এক হাজার ২০০ জন মানুষ তাদের বাড়িঘর ধীরে ধীরে মাটির নিচে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এই মাসের শুরুতে নগর সরকারের জারি করা একটি জরুরি আদেশে সিঙ্কহোল সম্পর্কে বলা হয়েছে যে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে আকারগুলো দ্রুত প্রসারিত হয়েছে ও বাসস্থানের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি ভবন এরই মধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সিঙ্কহোলগুলো এমন একটি সমস্যার বৃদ্ধি যা মারানহাও রাজ্যের বুরিটিকুপুর বাসিন্দারা গত ৩০ বছর ধরে দেখছেন। বৃষ্টি ধীরে ধীরে মাটি ক্ষয় করছে, যা তাদের বালুকাময় ন্যাচারের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি দুর্বল পরিকল্পনার নির্মাণ কাজ এবং বন উজাড়েরও অবদান রয়েছে।

ব্রাজিলে মাটির বৃহৎ ক্ষয়কে ভোকোরোকা বলা হয়, এটি আদিবাসী উৎসের একটি শব্দ যার অর্থ পৃথিবী ছিঁড়ে ফেলা এবং এটি সিঙ্কহোলের সমতুল্য।

ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব মারানহাওয়ের ভূগোলবিদ ও অধ্যাপক মার্সেলিনো ফারিয়াস বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের সময় সমস্যাটি আরও প্রকট হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বুরিটিকুপুতে ২২ বছর ধরে বসবাসকারী আন্তোনিয়া দস আনজোস আশঙ্কা করছেন, যে শিগগির আরও সিঙ্কহোল দেখা দেবে। আমাদের সামনেই এই বিপদ।

বুরিটিকুপু গণপূর্ত সচিব ও একজন প্রকৌশলী লুকাস কনসেইকাও বলেন, জটিল সিঙ্কহোল পরিস্থিতির সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষমতা পৌরসভার স্পষ্টতই নেই।

তিনি বলেন, ক্ষয় প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা লোকদের অপসারণ পর্যন্ত নানা ধরনের ইস্যু এর সঙ্গে সম্পর্কিত।

বিজ্ঞাপন

সূত্র: রয়টার্স

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।