ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় ইউরোপকে আমন্ত্রণের দরকার নেই: রাশিয়া

ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তি আলোচনায় ইউরোপের কোনো ভূমিকা নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
ল্যাভরভ বলেন, আমি জানি না, তারা (ইউরোপীয় দেশগুলো) আলোচনার টেবিলে কী করবে। যদি তারা শুধুমাত্র যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন কোনো কৌশল প্রস্তাব করতে আসে, তবে তাদের আমন্ত্রণের কোনো প্রয়োজন নেই।
রাশিয়া বরাবরই দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাধানের ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলো পক্ষপাতদুষ্ট ও তারা কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে। ল্যাভরভের এই মন্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, রাশিয়া ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আলোচনা শুধু যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য নিরপেক্ষ পক্ষের সঙ্গে চালাতে চায়।
এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি, ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, এই সহায়তা আসলে শান্তি আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনকে নতুন অস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনা করছে, যা এই অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সৌদি আরবে হতে যাওয়া এই মার্কিন-রাশিয়া আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ এটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করার একটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ। তাছাড়া, নির্বাচনী প্রচারণায় ও যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরও এই যুদ্ধ খুব শিগগির বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, ইউক্রেনকে সমর্থনের বিনিময়ে জেলেনস্কির কাছে তার দেশের দুর্লভ খনিজ সম্পদের ৫০ শতাংশ মালিকানা দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে ল্যাভরভের মন্তব্যের পর ইউরোপীয় নেতাদের প্রতিক্রিয়া কী হয়, তা দেখার বিষয়। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া, ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর কূটনৈতিক কৌশল কী হবে, সেটাতেই নজর রাখছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ